নদীতে ইলিশ না পেয়ে হতাশ ভোলার জেলেরা


নদীতে গিয়ে ইলিশ না পেয়ে চরম হতাশা নিয়ে ঘাটে ফিরছেন ভোলার জেলেরা। মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে দীর্ঘ দুই মাস পর ইলিশ শিকার করতে গিয়ে জালে মিলছে না কাঙ্খিত ইলিশ।
জেলেরা বলছেন, দীর্ঘ দুই মাসের ধার-দেনা ও ঋণ পরিশোধের স্বপ্ন নিয়ে ইলিশ শিকার করতে নদীতে যাচ্ছেন তারা। কিন্তু নদীতে গিয়ে ইলিশ না পাওয়ায় হতাশা নিয়ে ফিরছেন।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গত শনিবার মধ্যরাতে ধার-দেনা ও ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকারের নেমে পড়েন জেলেরা। কিন্তু নদীতে জাল ফেলে কাঙ্খিত ইলিশের দেখা মিলছে জালে। দুই মাসের ধার-দেনা, মহাজনের কাছ থেকে দাদন ও এনজিওর কিস্তি পরিশোধ তো দূরের কথা ট্রলারের তেলের খরচও উঠছেনা তাদের।
একাধিক জেলে জানান, আমরা ১০ জন জেলে প্রতিদিন ট্রলার নিয়ে প্রায় ৭ হাজার টাকা খরচ করে নদীতে যাচ্ছি। কিন্তু যে পরিমাণ মাছ পাই তা ৩-৪ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারি। এতে তেলের খরচও ওঠেনি।
তারা আরও জানান, ভাবছিলাম অভিযানের পর নদীতে গিয়ে অনেক মাছ ধরে ধার-দেনা পরিশোধ করতে শুরু করমু। আমাদের দুঃখ দুর হবে কিন্তু তা আর হলো না। অভিযানের দুই মাস যে ধার-দেনা ও এনজিওর কিস্তির টাকা বাকি ছিল তা এখন পরিশোধ করমু কেমনে।
ধনিয়া তুলাতুলি মৎস্য ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী আবু তাহের দালাল জানান, অভিযানের সময় আমরা মৎস্য আড়তদাররা ঢাকা, বরিশাল ও খুলনার পাইকারদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে জেলেদের দাদন দিয়েছি। কিন্তু এখন জেলেরা নদীতে গিয়ে ৩-৪টি মাছ নিয়ে ফেরায় দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত নোনা পানি ও দীর্ঘ দিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নদীতে মাছের সংখ্যা কম। তবে আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে সাগর থেকে প্রচুর ইলিশ নদীতে উঠে আসবে। তখন নদীতে জেলেরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ শিকার করতে পারবেন।
প্রসংগত,, ইলিশের ভয়াশ্রম হওয়ায় গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভোলার ১৯০ কিলোমিটার নদীতে ইলিশ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার।
এমবি
