যৌন হয়রানির অভিযোগে ইন্টার্নদের কর্মবিরতি, ৪২ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ৪২ ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত বুধবার রাত ১০টা থেকে শুরু করা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে আজ শুক্রবার বিকাল ৪টায় প্রত্যাহার করে ইন্টার্ন চিকিৎসকগণ কাজে যোগ দিয়েছেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাহফুজুর রহমানকে তার দায়িত্ব থেকে ইতিমধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই সাথে অন্যান্য দাবিও মেনে নেওয়ার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুমিনুর রহমান শুক্রবার সন্ধ্যায় গনমাধ্যমকে জানান, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দীর্ঘ বৈঠকে বিষয়টির নিষ্পত্তির আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপর ইন্টার্ন চিকিৎসকগণ যথারীতি কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন।
জেলা সদর হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মীর ম ম বিল্লাহ তকী গনমাধ্যমকে জানান, হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে ‘যৌন হয়রানি’র অভিযোগ করেছিলেন তারা। তিনি হাসপাতালের রোগী ও ইন্টার্ন নারী চিকিৎসকদের সাথে যৌন হয়রানির মতো আপত্তিকর কাজে জড়িত ছিলেন। এমন কি হাসপাতালে কর্মরত বেশ কয়েকজন নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তবে তার এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে উল্টো তাকে শারিরিকভাবে আঘাত করার অভিযোগ তুলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে তাকে মারধরের কথা উল্লেখ করা হয়। হাসপাতালের তত্বাবধায়ক জানান, এসব কারণে ৬ জন ইন্টার্ন চিকিৎসকের তিন মাসের এক্সটেনশনসহ ভাতা বন্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়। একই সাথে গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমানকে প্রত্যাহারেরও সুপারিশ করা হয়।
সুপারিশের ভিত্তিতে বৃহষ্পতিবারই ডা. মাহফুজুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে নেওয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা তুলে নেওয়ার দাবিতে তারা কর্মবিরতি শুরু করেন। শুক্রবার বিকালে আলাপ-আলোচনা সাপেক্ষে তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন।
এইচকেআর