সুন্দরগঞ্জে ভাতিজার হাতে চাচা খুন

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে ভাতিজার লাঠির আঘাতে চাচা মফিজুল হক (৭০) নিহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার বিকালে উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের উত্তর বেকাটারী গ্রামে। মফিজল হক ওই গ্রামের বাছুল্লা ব্যাপারীর ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল এক নারীকে আটক করেছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন আব্দুর মজির উদ্দিনের ছেলে ভাতিজা মকবুল মিয়াসহ তার চার ভাইয়ের সাথে চাচা মফিজুল হকের বিরোধ চলে আসছিল। এরই একপর্যায় ঘটনার দিন চাচা বিরোধী জমিতে বোর ধানের চারা রোপন করতে গেলে ভাতিজা বাঁধা প্রদান করে। কথা কাটাকাটির একপর্যায় উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ভাতিজার লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলেই চাচা মফিজল হকের মৃত্যু হয়। বিরোধী জমি নিয়ে গত শনিবার স্থানীয়ভাবে সালিশী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সালিশী সভার সিন্ধান্ত মোতাবেক মফিজল হককে বিরোধী জমিতে চারা রোপনের পরামর্শ প্রদান করা হয়। সে মোতাবেক মফিজল হক জমিতে চারা রোপন করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে।
নিহতের ছেলে খাইরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে আমার বাবা বিরোধী জমি ভোগ দখল করে আসছিল। হঠাৎ করে তার জ্যাঠাতো ভাই মকবুল মিয়া, মতিয়ার রহমান, মিজানুর রহমান ও মঞ্জু মিয়া ওই বিরোধী জমি নিজের বলে দাবি করে। এ নিয়ে গত শনিবার মিটিং হয়েছে। আগামী বুধবার চুড়ান্ত মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে। সালিশ সভার সিন্ধান্ত মোতাবেক আমার বাবা জমিতে চারা রোপন করতে গেলে, আমার জ্যাঠাতো ভাইয়েরা তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। নিহতের ঘটনার পর প্রতিপক্ষ মকবুল মিয়ার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় তাদের মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।
ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হুদা জানান, বিরোধী জমি নিয়ে গত শনিবার স্থানীয়ভাবে সালিশ সভা হয়েছে। সালিশ সভার সিন্ধান্ত মোতাবেক যে যে অবস্থানে রয়েছে সে সে অবস্থানে জমি ভোগ দখল করবে। আগামী এক সপ্তাহের চুড়ান্ত সালিশ সভা করা হবে। এরই মধ্যে উভয়েই সংঘর্ষে মফিজল হক নিহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পুলিশ মতিয়ারের স্ত্রী রশিদা বেগমকে আটক করে। ওসি তৌহিদুজ্জামান জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জেরধরে মফিজল হক নিহত হয়েছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।
হযরত বেল্লাল/সুন্দরগঞ্জ
এইচকেআর