পরীমনির বাগদানের আংটি উপহার: ভুল নাকি নির্মাতার প্রচার


সিনেমার প্রচারণার জন্য নির্মাতা বা সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন উপায় খুঁজে বের করেন। অভিনব প্রচার করতে গিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়েন অনেকে। নির্মাতা অরণ্য আনোয়ারের একটি ভুল তথ্য সংবলিত ফেইসবুক স্ট্যাটাস সম্প্রতি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
নির্মাতা স্ট্যাটাসের ভুল তথ্যটুকু পরবর্তী সময়ে সম্পাদনা করে শুধরে নিলেও চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা বিষয়টিকে তার সিনেমার প্রচারণার কৌশল বলে মনে করছেন।
অরণ্য আনোয়ারের ‘মা' সিনেমায় অভিনয় করছেন পরীমনি। শুটিং সেটে সহশিল্পী অর্থাৎ তার সন্তানের ভূমিকায় অভিনয় করা ছোট্ট এক শিশুকে উপহার দিয়ে প্রশংসিত হন এই নায়িকা। তবে বিপত্তি বাধে উপহারটা কি নাকফুল নাকি বাগদানের আংটি- এ নিয়ে।
নির্মাতা এ বিষয়ে ফেইসবুকে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দেন। তিনিই প্রথম বিষয়টি সামনে আনেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, পরীমনি সহশিল্পীকে তার বাগদানের আংটি উপহার দিয়েছেন। বিষয়টি প্রকাশ পেলে প্রশংসায় ভাসতে থাকেন এই নায়িকা। কিন্তু পরীমনি পরবর্তীতে জানান সেটি আসলে বাগদানের আংটি ছিল না, ছিল নাকফুল।
বাগদানের আংটি যে কোনো মানুষের কাছেই অনেক আবেগের একটি স্মৃতি। সবাই এটি যত্ন নিয়ে সংরক্ষণ করেন। যে কারণে পরীমনির ভক্ত-পাঠক এ সংবাদে চমকিত হন। যদিও চমকে দিতে বরাবরই সিদ্ধহস্ত পরীমনি। কিন্তু এখানে চমকের চেয়ে এই চিত্রনায়িকার মমতা বেশি প্রকাশ পেয়েছে। অরণ্য আনোয়ারের স্ট্যাটাস এ কথার সাক্ষ্য দেয়।
অরণ্য আনোয়ার লিখেছেন: ‘… ঘরে ঢুকতেই দেখলাম রাজ আর পরীর হাতে একটা সোনার রিংয়ের ছোট বাক্স। পাশে বসা সেই শিশুটির মা। পরী বলল, ‘ভাইয়া, আমার দুটো এনগেজমেন্ট রিংয়ের একটা হচ্ছে এটা। আমি বাবুটাকে আপনার হাত দিয়ে এই রিংটা উপহার দিতে চাই’। আমি হতভম্ব! কী বলে এই মেয়ে?’
অথচ পরীমনি নিজেই বলছেন ওটা নাকফুল। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে- নির্মাতার এতো বড় ভুল হলো কীভাবে? বিষয়টি জানতে অরণ্য আনোয়ারকে ফোন করলে তিনি বলেন, ‘আমি সিনেমা হলে পরে কথা বলি।' এর পরেই তিনি স্ট্যাটাস সম্পাদনা করে আংটির জায়গায় ‘নাকফুল’ লেখেন।
এ ঘটনার পর অনেকেই বলছেন, এটাও কি পরিচালকের প্রচারের কৌশল। কিন্তু ব্যাড মার্কেটিং যে অনেক সময় বুমেরাং হয় এ কথা সম্ভবত তিনি জানেন না।
এইচকেআর
