হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের তথ্য কেন গোপন করলো ডিপো কর্তৃপক্ষ


চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর দাউ দাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ার কারণ হাইড্রোজেন পার অক্সাইড বোঝাই কনটেইনার। এটির বিস্ফোরণ পুরো ঘটনাকে নিয়ে গেছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
ডিপোর একটি কর্ণারে টিন শেডের নিচে এমন দাহ্য রাসায়নিকের একাধিক কনটেইনার ছিল। এখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। আশপাশের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা থেকে শোনা গেছে এই কেমিকেলের বিস্ফোরণ।
ঘটনার সময় আশপাশের কয়েকটি ভবনের কাঁচ বিস্ফারণের শব্দে ভেঙেও পড়েছে। শনিবার রাতে এ বিস্ফোরণের ঘটনায় রোববার সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৩৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন দুই শতাধিক ব্যক্তি।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান বলেন, প্রায় ২০ হাজার কনটেইনার ছিল ডিপোতে। এর মধ্যে বেশ কিছু কনটেইনারে দাহ্য পদার্থ ছিল। সেটির বিস্ফোরণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
সিভিল সার্জন ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, প্রায় ২০০ জন বিভিন্নভাবে আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজন গুরুতর আহত আছেন। তবে মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৩৩ জন। এর মধ্যে কম্পিউটার অপারেটর মমিনুলের পরিচয় নিশ্চিত করতে পেরেছি আমরা।
বিএম কনটেইনার ডিপোতে প্রায় ২০ হাজার কনটেইনার রয়েছে। বেশ কিছু কনটেইনার খালি আছে। কনটেইনারে থাকা পণ্যের বেশিরভাগই গার্মেন্টস পণ্য। রপ্তানির জন্য এসব পণ্য ডিপোতে আনা হয়েছিল। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে যেসব পণ্য রপ্তানি হয় তা প্রথমে বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে প্রথমে আনা হয়। সেখানে শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রপ্তানি পণ্য জাহাজে ওঠাতে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রাম বন্দরে।
বিএম কনটেইনার ডিপোর পরিচালক মজিবুর রহমান বলেন, ‘রাসায়নিক পদার্থ ও গার্মেন্টস পণ্য থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে পরিস্থিতি আগের চেয়ে এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।’ কী পরিমাণ কনটেইনার আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা জানাতে পারেননি তিনি। কতজন শ্রমিক ডিপোতে কাজ করেছিলো-এমন প্রশ্নের জবাবে মজিবুর রহমান বলেন, ‘শতাধিক শ্রমিক ছিলেন ডিপোতে। যারা আহত হয়েছেন তাদের সবার চিকিৎসা খরচ আমরা বহন করবো।’
রাসায়নিক থাকার কথা কেন জানানো হয়নি ফায়ার সার্ভিসকে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু গোপন করিনি।’
এইচকেআর
