মঠবাড়িয়ায় অতিবর্ষণে ও জোয়ারে পানিতে সড়ক দেবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

বঙ্গোপসাগরে নিন্মচাপের প্রভাবে ও গত বেশ কয়েকদিন ধরে গালাতার ভারী বর্ষণ ও অতি জোয়ারে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকার সড়ক দেবে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পাশাপশি অবৈধ দললদারীদের কারনে খাল সংকুচিত হওয়ায় ও খালে বাধ থাকায় পানি নদীতে নামতে না পারায় নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি জমে থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও নিম্বাঞ্চলের বাড়িগুলোতে রান্না বন্ধ রয়েছে।
শনিবার (২০ আগস্ট) সরেজমিনে দেখাযায়, মঠবাড়িয়া-বড়মাছুয়া সড়কে বেশ কয়েকটি স্থানে গর্ত হয়ে গেছে। উপজেলার মিরুখালী-ধানীসাফা সড়কের বেশ কয়েকটি স্থান দেবে দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বলেশ্বর- বিষখালী নদীর সংযোগ খাল মিরুখালীর দোগনা ও ভুতা খালে একাধিক বাধ থাকায় পানি প্রবাহ হতে না পাড়ায় ওই এলাকার শত-শত বাড়ি ঘরের মেঝেতে পানি উঠে গেছে। দাউদখালী নূরজাহান মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি জলমগ্ন হয়ে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে। বিদ্যালয়ের মাঠঘাট শুধু নয় জলের প্লাবন ঢুকে পড়েছে শ্রেণি কক্ষেও। ফলে গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসে জলমগ্ন শ্রেণি কক্ষে বসতে না পেরে জলকাঁদা ভেঙে বাড়ি ফিরে গেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামাল হোসেন শ্রেণিকক্ষ জলমগ্ন হয়ে পাঠদান ব্যাহত হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠ জলমগ্ন হয়ে শ্রেণি কক্ষে ঢুকে পড়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান সম্ভব হয় না। বিকল্প পাঠদানেরও ব্যবস্থা নেই। একটি নতুন স্কুল ভবন নির্মাণ ছাড়া স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
বাদুরা গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক নেতা মো. রোকনুজ্জামান শরীফ বলেন, বলেশ্বর- বিষখালী নদীর সংযোগ খাল মিরুখালীর ইউনিয়নের বাদুরা গ্রামের দোগনা ও ভুতা খালে একাধিক বাঁধ থাকায় পানি প্রবাহ হতে না পাড়ায় এলাকার শত-শত বাড়ি ঘরের মেঝেতে পানি উঠে গেছে। হাজার হাজার একর জমি পানির নিচে রয়েছে। ক‘দিন বা ক‘মাসে পানি নেমে যাবে তার কোন সময় বলা যাচ্ছে না। চলতি বছর হয়তো আবাদ হবে না এ জমিতে। পাশাপাশি গো-খাদ্যে চরম সংকট দেখা দিয়েছে। শত-শত পারিবারের রান্না বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক স্কুলের পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিলন তালুকদার বলেন, বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ক্ষয়-ক্ষতির ধরণ অনুযায়ী তালিকা করে উর্দ্ধতণ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। আশাকরি কর্তৃপক্ষ শীঘ্রই এ ব্যপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।
এইচকেআর