ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

Motobad news

স্বামীকে ছয় টুকরো করা ফাতেমার ৫ দিনের রিমান্ড

স্বামীকে ছয় টুকরো করা ফাতেমার ৫ দিনের রিমান্ড
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণে স্বামী ময়না মিয়াকে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহটি ছয় টুকরো করে ফেলে দেন প্রথম স্ত্রী ফাতেমা খাতুন। এ ঘটনায় তাকে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর বনানী থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে আসামি ফাতেমার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরি তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে মহাখালী থেকে উদ্ধার হওয়া ময়না মিয়ার ছয় টুকরো মরদেহটির রহস্য উদঘাটন করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার দুপুরে বনানী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিহত ময়না মিয়ার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ময়না মিয়া হত্যাকাণ্ডের ধরন, মোটিভ এবং অপরাধী সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, সোমবার দুপুর ১২টায় গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের একটি টিম বনানী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ময়না মিয়ার খণ্ডিত লাশের রহস্য উন্মোচনসহ এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত ফাতেমা খাতুন ভিকটিমের প্রথম স্ত্রী।

তিনি জানান, পানির ড্রামে কেটে ফেলা দুই পা এবং দুই হাতকে একটি বড় কাপড়ের ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখে নিহত ময়না মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন। এলাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় রিকশা ভাড়া করে প্রথমে মাথা ও হাত-পা খণ্ডিত শরীরের মূল অংশ ফেলে দেয় আমতলী এলাকায়। এরপর মহাখালী বাস-টার্মিনাল এলাকায় এনা বাস কাউন্টারের সামনে খণ্ডিত দুই হাত-পা ভর্তি ব্যাগ রেখে দিয়ে চলে আসে বাসায়। বাসায় এসে সেখান থেকে খণ্ডিত মাথার ব্যাগটি নিয়ে বনানী ১১নম্বর ব্রিজের পূর্বপ্রান্তে গুলশান লেকে ফেলে দেয় এবং এরপর বাসায় এসে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে থাকে।

এ বিষয়ে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ইউনিটের সঙ্গে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ ভিকটিমের পরিচিতি শনাক্ত করার জন্য চেষ্টা চালায়। আর ডিবির গুলশান বিভাগের একটি টিম নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তার স্বামী নিখোঁজ হওয়ার বিষয় নিশ্চিত হয়।

ডিবির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার ফাতেমা জানান গত ২৩ মে থেকে তার স্বামী ময়না মিয়া কড়াইল এলাকায় তার বাসাতেই অবস্থান করছিলেন। পারিবারিক কলহ, টাকা-পয়সা বণ্টন ও একাধিক বিয়েকে কেন্দ্র করে ময়না মিয়ার সঙ্গে তার মনোমালিন্য হয়। এক পর্যায়ে ফাতেমা পরিকল্পনা করে তার স্বামীকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে নিস্তেজ করেন এবং পরবর্তীতে টুকরো টুকরো করে মরদেহ ফেলে দেন।


এমবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন