ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫

Motobad news

পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জ সড়কটির বেহাল অবস্থা

পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জ সড়কটির বেহাল অবস্থা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ভারী যানবাহন চলাচলে পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কটিতে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পায়রা সেতুতে ওয়েটস্কেল স্থাপন করায় অতিরিক্ত ওজনের যানবাহনগুলো বিকল্প এ সড়ক ধরে ফেরিপার হয়ে পটুয়াখালী পথে চলাচল করছে।

অপরদিকে লেবুখালী সেতু পার না হয়ে এ সড়কে চলাচল করায় ফেরির ইজারাদাররাও অধিক ওজনের এসব যানবাহন থেকে চার-পাঁচ গুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে।


ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের পায়রা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে লেবুখালী-পায়রা সেতু। এ সেতুতে রয়েছে ওয়েটস্ক্রেল। যা পার হয়ে যানবাহনগুলোকে পায়রা সেতুতে উঠতে হয়। আর এতে ৬ চাকার গাড়িতে সর্বোচ্চ ২২টন পর্যন্ত পণ্য নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আর ১০ চাকার যানবাহনে সর্বোচ্চ ৩০ টন, ১৪ চাকার যানবাহনে ৪০ টন, ১৮ চাকায় ৪৭ টন, ২২ চাকায় ৪৯ টন এবং ২৬ চাকায় ৫২ টন পণ্য বহনের অনুমোদন রয়েছে। নির্ধারিত ওজনের বেশি পণ্য বহন করলে প্রথম টনের জন্য পাঁচ হাজার টাকা এবং পরের টনের জন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়।


এ কারণ বর্তমানে লেবুখালী সেতুতে যানবাহন না উঠে অতিরিক্ত ওজনের ট্রাকগুলো পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের লেবুখালী-পায়রা সেতুর আগে বাকেরগঞ্জ থেকে মির্জাগঞ্জ হয়ে পায়রাকুঞ্জ দিয়ে ফেরিপার হচ্ছে। এ কারণে মহাসড়কের অধিক ওজনের যানবাহনগুলো এখন আঞ্চলিক সড়কে বেশি চলাচল করে। এর ফলে সড়কটি অধিক ওজনের গাড়ির কারণে এখন খানাখন্দে বেহাল দশা। সড়কটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে এ এলাকার বাসিন্দা ও এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন।


মির্জাগঞ্জ সড়কের নিয়মিত চলাচলকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী জামাল হোসেন বলেন, কিছুদিন আগেও রাস্তাটি ভালো ছিল। তবে গত কয়েক মাস সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত এ সড়কে ভারী পণ্য নিয়ে ট্রাক চলাচল করায় সড়কে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়লেও সংস্কারের কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ওই এলাকার বাসিন্দা সাফিয়া খাতুন বলেন, ছেলে-মেয়েদের স্কুলে নিতে কষ্ট হয়। মাঝেমধ্যে সড়কের রিকশা-অটোরিকশা উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। এরপর সড়কে সব সময় ধুলাবালি উড়তে থাকে। বাসা বাড়িতেও থাকার কোনো অবস্থা নেই।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিক উল্লাহ জানান, এ সড়কে সাম্প্রতিক সময় অধিক ওজনের ট্রাক চলাচল করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এবিষয়ে ফেরির ইজারাদারদের সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি করণীয় নির্ধারণের জন্য জেলা উন্নয়ন সভাও বিষয়টি তোলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এক কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি প্যাকেজে চার কিলোমিটার সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন