একবার জাল ফেলতেই উঠে এলো ৪০ হালি ইলিশ!


ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচরের দক্ষিণ পাশের মেঘনা নদীতে একটি ছোট নৌকায় মাছ ধরতে যান সাইফুল মাঝি। তিনি নদীতে একবার জাল ফেলেই পেয়েছেন ৪০ হালি ইলিশ।গত শুক্রবার পূর্ব ঢালচর মাছ ঘাটের আরিফুর রহমান রাসেল পাটওয়ারীর আড়তের সাইফুল মাঝির নৌকায় এ মাছগুলো ধরা পড়ে।
মাছগুলো তিনি ঘাটে এনে ডাকে (নিলামে) ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। এ বছর এবারই প্রথম সাইফুল মাঝি এত মাছ পেয়েছেন। একসাথে এত মাছ পেয়ে খুশি সাইফুল মাঝিসহ তার নৌকায় থাকা বাকি পাঁচ জেলেও।
পূর্ব ঢালচর মাছঘাটের আড়তদার আরিফুর রহমান রাসেল জানান, গত শুক্রবার ভোররাতে তাদের ঘাট থেকে সাইফুল মাঝিসহ ছয় জেলে ছোট একটি নৌকা নিয়ে ঢালচরের দক্ষিণে মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে যান।
জাল ফেলার কিছুক্ষণ পর জাল টানতে গিয়ে দেখতে পান তাদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উঠেছে। তারা দ্রুত জাল টেনে ঘাটে ফিরে আসেন। ঘাটে এসে দেখেন তাদের জালে ৪০ হালি ইলিশ ধরা পড়েছে। পরে ঘাটে মাছগুলোর মধ্যে ৩৬ হালি জাটকা বিক্রি করেছেন ১০ হাজার ৮০০ টাকায়, সাতটি গোটলা সাইজের ইলিশ বিক্রি করেছেন এক হাজার ১৩৭ টাকায়, একটি বেলকা সাইজের ইলিশ বিক্রি করেছেন ৩২৫ টাকায়, এক হালি বড় ইলিশ বিক্রি করেছেন দুই হাজার ২৫০ এবং তিনটি গ্রেট ও দুটি বিট সাইজের ইলিশ বিক্রি করেছেন ছয় হাজার ৪০০ টাকায়। একসাথে এত মাছ পেয়ে খুশি সাইফুল মাঝিসহ তার নৌকার ছয় জেলে।
সাইফুল মাঝি জানান, তারা এ বছর নদীতে তেমন একটা মাছ পাননি। প্রতিবারই নদীতে গিয়ে লোকসানে পড়তে হয়।
কিন্তু শুক্রবার জাল ফেলার কিছুক্ষণ পর জাল টানতেই তাদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ে। এতে তারা সবাই খুশি।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ জানান, নদীতে ইলিশের আনাগোনা বেড়েছে। আর ইলিশের একটা বৈশিষ্ট্য হলো, ঝাঁকে ঝাঁকে চলাচল করা। এ ঝাঁকের মধ্যে কোনো জেলে জাল ফেললে তাদের জালে পুরো ঝাঁক মাছই আটকা পড়ে।
আরজেএন
