যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতার রাজশাহী জেল হাসপাতালে মৃত্যু


যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ (৬৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী জেল কারাগার হাসপাতালে মারা গেছেন।
আবুল কালাম আজাদ পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পাকশী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তার গ্রামের বাড়ি পাকশীর বাঘইলে।
আইনি কার্যক্রম শেষে আবুল কালামের মরদেহ রোববার পাকশীর নিজ বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরিবারের বরাত দিয়ে পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, বিএনপি নেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে জেল হাসপাতালে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
কারাগারে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এ বিএনপি নেতা।
আজাদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অন্ধত্ব, ডায়াবেটিকসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে রাজশাহী জেলা কারাগার হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শনিবার বিকেলে তিনি মারা যান।
১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণ, বোমা নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনায় রেল থানায় মামলা হয়।
২৫ বছর পর ২০১৯ সালের ৩ জুলাই ওই মামলার রায়ে ২৫ জন যাবজ্জীবন, ১৩ জনের ১০ বছর কারাদণ্ড ও ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ের পর থেকেই জেল হাজতে ছিলেন বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ। পরে তাকে অন্য কয়েদিদের সঙ্গে রাজশাহী জেলে পাঠানো হয়।
আরজেএন
