ঢাকা বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম

জন্মনিবন্ধন সনদে নাম হতে হবে কমপক্ষে দুই শব্দে

জন্মনিবন্ধন সনদে নাম হতে হবে কমপক্ষে দুই শব্দে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

জন্মনিবন্ধন সনদে প্রত্যেক ব্যক্তির নাম কমপক্ষে দুই শব্দের হতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়া হবে না। পাসপোর্ট তৈরি, বিদেশে বিভিন্ন সেবা নিতে সমস্যা হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 


আজ রোববার গনম‍াধ্যমকে ‍এ  সব তথ্য জানান, জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. রাশেদুল হাসান। 


রাশেদুল হাসান বলেন, ‘জন্মনিবন্ধনে প্রত্যেকের নাম কমপক্ষে দুই শব্দবিশিষ্ট হতে হবে। এখন থেকে সখিনা, মর্জিনা বা রশিদ—এ ধরনের এক শব্দের নামে আর জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু করা হবে না। নাম দুই শব্দবিশিষ্ট যেমন—সখিনা বেগম বা সখিনা খাতুন, আব্দুর রশিদ বা মো. আব্দুর রশিদ সরকার এভাবে লিখতে হবে।’ 

রাশেদুল হাসান আরও বলেন, ‘জন্মনিবন্ধন ব্যক্তির প্রথম ও প্রাথমিক নিবন্ধন। জন্মনিবন্ধন সনদ ব্যক্তির ও ব্যক্তির পিতা–মাতার পরিচয় বহন করে। এ নিবন্ধনের ওপর ভিত্তি করে ব্যক্তিজীবনের পরবর্তী সব নিবন্ধন হয়ে থাকে। তাই শুধু ডাক নাম বা এক শব্দবিশিষ্ট নাম উল্লেখ করে জন্মনিবন্ধন করা যাবে না।’ 

জন্মনিবন্ধন আইন করা হয় ২০০৪ সালে, যা কার্যকর হয় ২০০৬ সালে। পাসপোর্ট ইস্যু, বিবাহনিবন্ধন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, ড্রাইভিং লাইসেন্স নেওয়া, জমি রেজিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন কাজে জন্মনিবন্ধন সনদ করা হয়েছে বাধ্যতামূলক। শুরুর দিকে হাতে লিখে জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়া হতো। পরে ২০১০ সালের শেষে ডিজিটাল পদ্ধতি অনলাইনে আবেদন করার মাধ্যমে জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়া শুরু হয়। 

ভোগান্তির শেষ নেই 
রাজধানীর মগবাজার এলাকার বাসিন্দা তৈমুর আহমেদ। ছেলের জন্মসনদ করাতে প্রথমে যান স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে। সেখান থেকে বলা হয় সার্ভার সমস্যার কারণে আবেদন গ্রহণ করা যাচ্ছে না। পরে তিনি যোগাযোগ করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মূল কার্যালয়ে। সেখানেও একই জবাব দেওয়া হয়। পরে তিনি বাধ্য হয়ে জন্মনিবন্ধন অধিদপ্তর কার্যালয়ে যোগাযোগ করে আবেদন করেন এবং জন্মনিবন্ধন সনদ গ্রহণ করেন। 

একই অবস্থা হাজারীবাগের বাসিন্দা মৃদুল সরকারের। তিনি বলেন, ‘ভাই আর বইলেন না, আবেদন করতেই ১০ দিন ঘুরতে হয়েছে। পরে বাধ্য হয়ে কম্পিউটারের দোকান থেকে আবেদন করেছি।’ 
 
শুধু তৈমুর আহমেদ বা মৃদুল সরকার নয়, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ জন্মনিবন্ধন সনদে আবেদন, সংশোধনে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। 

জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যালয়ের সূত্র জানায়, মূলত জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন আবেদনের ওয়েবসাইটের কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রায়ই আবেদন করা যায় না। কারিগরি ত্রুটির মধ্যে রয়েছে সার্ভারে জায়গা কম থাকা, এর সঙ্গে যুক্ত সফটওয়্যারগুলো আপডেট না থাকা। এ ছাড়া রয়েছে জন্ম ও নিবন্ধন কার্যালয়ে দক্ষ জনবল না থাকা। 

এসব সমস্যার কথা স্বীকার করেন রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. রাশেদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘সফটওয়্যার প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে। আশা করি শিগগির সব সমস্যার সমাধান হবে।’

সূত্র: আজকের পত্রিকা
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

সর্বশেষ