নির্বাচনের পথে জাপা,আজ থেকে শুরু মনোনয়ন ফরম বিক্রি


দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয় পার্টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে। সোমবার দুুপুর ১২টার দিকে চেয়ারম্যানের পক্ষে মনোনয়ন বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন সাবেক মন্ত্রী ও দলটির নেতা আনিসুল ইসলাম। এরপর সাবেক মহাসচিব রুহুল আমি হাওলাদারের পরিচালনায় মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে ফরম। এ বছর জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরমের দাম ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
সোমবার দলটির প্রেসিডিয়াম মেম্বার ফখরুল ইমাম জানান, নির্বাচনের ব্যাপারে আজ (সোমবার) কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। মনোনয়ন ফরম বিক্রির জন্য চেয়ারম্যানের কার্যালয় প্রস্তুত করা হয়েছে। দেশের বিভাগভিত্তিক আলাদা বুথ থেকে ফরম বিক্রির করা হবে।
তফসিল অনুযায়ী আগামী বছরের সাত জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। আর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে আগামী ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসাররা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর।
এদিকে শনিবার জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সই করা এক চিঠিতে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে, গত তিন ভোটের ধারাবাহিকতায় আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েই ভোটের মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইসিতে পাঠানো চিঠিতে রওশন লেখেন, জাতীয় পার্টি বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় এবারও চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্বান্ত গ্রহণ করেছি।
এটা হবে শুধু মাত্র নির্বাচনী জোট। নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবেন,’ উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
আসন্ন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক লাঙল অথবা প্রার্থীর ইচ্ছানুসারে মহাজোটে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে পারবেন বলেও লিখেছেন রওশন এরশাদ।
আর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে অনুরোধ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা।
সাবেক সেনাশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের গড়া দল জাতীয় পার্টি ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে।
এরপর গণ-আন্দোলনে এরশাদের পতনের পর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে জাতীয় পার্টি। এরশাদ কারাগারে থাকা অবস্থায় ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৫ আসন পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে আসে দলটি।
১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩২ আসন পায় জাতীয় পার্টি। ওই নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের সরকার গঠনে জাতীয় পার্টি সমর্থন দিয়েছিল।
এরপর ২০০৯ ও ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অংশ হয়ে জাতীয় পার্টি ভোটে অংশ নেয়। ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ২২টি আসন পায় জাতীয় পার্টি ।
দশম (২০১৪) ও একাদশ (২০১৮) সংসদে প্রধান বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করেছে জাতীয় পার্টি।
এমএন
