‘যাকাত দিলে ধনী দরিদ্রের বৈষম্য হ্রাস পায়’
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. বশিরুল আলম বলেন, ইসলামে সমাজের দরিদ্র জনসাধারণের আর্থিক প্রয়োজনের ব্যাপকতার প্রতি লক্ষ রেখে তৃতীয় হিজরিতে ধনীদের ওপর যাকাত ফরজ করা হয়েছে। সমাজে ধনসম্পদের আবর্তন ও বিস্তার সাধন এবং দারিদ্র্য দূরীকরণের মহান উদ্দেশ্যেই যাকাতব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়।
জেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাইন্ডেশন বিভাগীয় কার্যালয়ের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে দারিদ্র্য বিমোচনে যাকাতের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যাকাত দিলে ব্যক্তির সম্পদ ও আত্মা পরিশুদ্ধ হয়। ধনী দরিদ্রের বৈষম্য হ্রাস পায়। দরিদ্র্যদের স্বচ্ছলতা বাড়ে। যাকাত প্রদানের জন্য পবিত্র কোরআনের ৩২ যায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে। এই বিধান পালন করা ফরজ।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার শওকত আলী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ সরদার।
এছাড়া সভায় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, মসজিদের ঈমামও খতিবগণ উপস্থিত ছিলেন। এসময় জুমে যুক্ত ছিলেন, বরিশাল বিভাগের ৫ জেলার জেলা প্রশাসকরা।
সভায় জানানো হয়, ইসলামে ধনী লোকদের ধনসম্পদের ৪০ ভাগের এক অংশ অসহায় দরিদ্রদের মধ্যে যাকাত হিসাবে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যাকাত দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময়ের বাধ্যবাধকতা না-থাকলেও রমজান মাসই যাকাত আদায়ের সর্বোত্তম সময়। রমজান মাসে যেকোনো ধরনের দান-সাদকা করলে অন্য সময়ের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি নেকি হাসিল হয়।
এইচকেআর