ঈদের পাঁচদিন আগেই বাড়লো মাছ-মাংসের দাম

ঈদের বাকি মাত্র পাঁচদিন। তার আগেই বাজারে বেড়েছে গরু এবং মুরগির মাংসের দাম। গরুর মাংস প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা এবং ব্রয়লারে বেড়েছে ২০ টাকা পর্যন্ত। দুই-একদিনের মধ্যে দাম আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
তবে ঈদের আগে হঠাৎ করেই মাংসের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ভোক্তারা। তাদের অভিযোগ ঈদকে পুঁজি করে মাংসের মূল্য বাড়িয়েছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। এ বিষয়ে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম আরও জোরালো করার দাবি সাধারণ মানুষের।
নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ‘রোজার শুরু থেকে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হলেও শুক্রবার সকাল থেকে হঠাৎ করেই তা বেড়ে ৮শত টাকা হয়েছে। বাংলা বাজার, চৌমাথা বাজার, নতুন বাজার এবং পোর্ট বাজার ছাড়া কোন কোন বাজারে গুরুর মাংস ৭৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।
এছাড়া বাজারগুলোতে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগীর দাম। প্রতিকেজি ব্রয়লার ২০ টাকা বেড়ে ২৩০ টাকা হয়েছে। লেয়ার ৫ টাকা বেড়ে ৩৩৫, আর সোনালী ১০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর পোর্টরোডের পাইকারী মুরগি বিক্রেতাদের দাবি, তারা এখনো ২০০ টাকায় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করছেন। এছাড়া অন্যান্য মুরগীও আগের দামেই বিক্রি করছেন। তবে দুই একদিনের মধ্যে বাড়তে পারে দাম।
অপরদিকে বাংলা বাজারের মাংস বিক্রেতা কসাই আব্দুল জানান, ‘পাইকারী বাজারে গরুর দাম বেড়ে গেছে। যে কারণে ৮০০ টাকা দরেই বিক্রি করতে হচ্ছে গরুর মাংস। এর বাইরে বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে তাদের।
এদিকে, মাংসের বাইরে বেড়েছে মাছের দামও। সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বাজারে পাঙ্গাস প্রতি কেজি ২০০-২২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০-২৫০, চিংড়ি ৮০০-১০০০, পোমা ২০০-৩৫০, রুই ৩৫০-৩৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে সবজির বাজার স্বাভাবিক রয়েছে।
তবে বাজারে সবজি এখন সাধারন মানুষের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। পটল ৫০,শশা ৩০, ঢেরস ৩০, বেগুন ৩০-৪০, বরবটি ৪০, করলা ৪০, টমেটো ৩০, কাঁচামরিচ ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া আলু ৪৫, পেঁয়াজ ৪৫-৫০, রসুন দেশি ১২০, আদা ১৬০, ছোলা বুট ১০৫-১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এমএন