মনপুরায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে ছাই জেলে ট্রলার ও জাল


ভোলার মনপুরার মেঘনায় দুই মাস নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরার প্রস্তুতির নেওয়ার দিন ভোর রাতে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ইঞ্জিন চালিত একটি মাছ ধরার ট্রলার ও জাল।
এতে ওই জেলের ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। জেলে পরিবারের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন ট্রলার ও জাল পুড়ে যাওয়ায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে জেলে পরিবার। গতকাল বুধবার ভোর রাত সাড়ে ৪ টায় উপজেলার হাজীরহাট ইউনিয়নের ভূঁইয়ারহাট এলাকার টেকের ঘাট খালে এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে স্থানীয় হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার ও মনপুরা থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্থ জেলে হলেন, উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ভূঁইয়ারহাট সংলগ্ন হাজীরচর গ্রামের বাসিন্দা আলম সর্দারের ছেলে হান্নান মাঝি।
ক্ষতিগ্রস্থ জেলে জানান, গত ১৫ বছর ধরে মেঘনায় মাছ শিকার করে বৃদ্ধ বাবা-মা ও সন্তান, পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। ধার-দেনা সহ মৎস্য আড়তদার ফারুক কোম্পানীর কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা দাদন নিয়ে ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ও জাল টেকের ঘাট খালে নোঙ্গর করে রাখেন।
দুই মাস নিষেধাজ্ঞার শেষে বুধবার সকালে মেঘনার মাছ শিকারের প্রস্তুতি নেন। কিন্তু ভোর রাতে কে বা কাহারা আগুন দিয়ে ট্রলার ও জাল পুড়ে দিয়েছে বলে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন। পাশাপাশি বৃদ্ধ বাবা ও মা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
এদিকে নিঃস্ব জেলে পরিবারকে সমবেদনার পাশপাশি এমপি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের পক্ষে আর্থিক অনুদান ক্ষতিগ্রস্থ জেলের পিতা আলম সর্দার হাতে তুলে দেন হাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার।
এ ব্যাপারে মনপুরা মৎস্য কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা চরফ্যাসন উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মাহরুফ হোসেন মিনার জানান, ঘটনা শুনেছি। ক্ষতিগ্রস্থ জেলেকে সহযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্থ জেলের লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এইচকেআর
