আপত্তিকর ম্যাসেজকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মারামারি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক শিক্ষার্থী সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীর ম্যাসেনজারে আপত্তিকর ম্যাসেজ পাঠানোকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় মারামারির ভিডিও ধারন করতে গেলে লাঞ্ছনার স্বীকার হন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার সংবাদ পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এনামুল হোসেন।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক শিক্ষার্থী সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীর ফেসবুক ম্যাসেনজারে আপত্তিকর ম্যাসেজ পাঠান।
এ নিয়ে গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ছাতিম তলায় দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় এ ঘটনা ভিডিও ধারন করেন সাংবাদিক এনামুল।
কিন্তু পরিচয়ধারী ছাত্রলীগ নেতা মাহামুদুল হাসান তমালের নির্দেশে তার দুই অনুসারী এনামুলকে ঘিরে ধরে ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়ে ফোন থেকে ধারনকৃত ভিডিও ডিলেট করতে বাধ্য করেন। ছাত্রলীগ পরিচয়ধারী ঐ নেতার নাম মাহমুদুল হাসান তমাল।
তিনি আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ পরিচয়ধারী একাংশের নেতৃত্বদানকারী মুবাশ্বির রিদমের অনুসারী।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক এনামুল হোসেন বলেন, মারামারির ঘটনা দেখে ভিডিও ধারন করতে যাই। পাশে মোটরসাইকেলে বসে ছিলেন তমাল।
তিনি দেখে বলেন, এ ভাইয়া তুমি ভিডিও করছো কেন? ভিডিও ডিলেট করো। এরপর জুবায়ের ও সিয়াম নামে তার দুই অনুসারীকে ভিডিও ডিলেট করার জন্য আমাকে ঘিরে ধরে।
এসময় তমাল আবার বলেন, ট্রাশ ফাইল সহ ভিডিও ডিলেট করা। সাংবাদিক পরিচয় দিলে আরো উত্তেজিত হয়ে যান তিনি। বলেন, ভিডিও ডিলেট কর। পরে জোরজবরদস্তি করে মোবাইল ফোন থেকে ভিডিও ডিলেট করতে বাধ্য করেন সালেমীর সায়েম।
সালেমীর সায়িম একই বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তবে এরকম কোনো ঘটনা ঘটে নাই বলে দাবি সায়িমের।
এ বিষয়ে মাহমুদুল হাসান তমাল বলেন, ও ভিডিও করতেছিলো। ওরে ভিডিও ডিলেট করতে বলি কিন্তু ও সাংবাদিক কিনা তা আমি জানি না। ঘটনাটি যেন সামনে আর না বাড়ে তাই আমি ভিডিও ডিলেট করাই।
এ বিষয়ে বিশ্বিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.আব্দুল কাইউম বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কোনো কমিটি নেই। তবে মাহামুদুল হাসান তমাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা। এছাড়াও প্রতিপক্ষকে হামলার বিরুদ্ধে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে।
এইচকেআর