নির্বাচনের দিনেও বাতিল হতে পারে প্রার্থীতা: বিভাগীয় কমিশনার

‘আচরণবিধি লংঘন করলে নির্বাচনের দিনেও বাতিল হতে পারে প্রার্থীতা। এমনকি সেই প্রার্থী যদি সর্বোচ্চ ভোট পান তবুও তার নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ থাকবে না। অনিয়ম করলে প্রার্থী কিংবা ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
সোমবার চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিতব্য বরিশাল জেলার ৩ উপজেলার নির্বাচনে সকল প্রার্থী এবং ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার শওকত আলী এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের মাঝে দীর্ঘদিন সুষ্ঠু ভোটের চর্চা ছিল না। এখন দেশ ও জাতির স্বার্থেই সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার।
ভোটের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে যা যা করা দরকার তার সবকিছু করা হবে। বাবুগঞ্জ, উজিরপুর ও বানারীপাড়া উপজেলার সকল চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও প্রিসাইডিং অফিসারদের নিয়ে সোমবার বাবুগঞ্জ উপজেলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম।
বাবুগঞ্জের ইউএনও শাকিলা রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতাকালে রেঞ্জ ডিআইজি জামিল হাসান বলেন, নির্বাচনে কেউ অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তার পরিনাম হবে ভয়াবহ। এটা শুধু কথার কথা নয়। কেউ দেখতে চাইলে তাকে কাজে দেখানো হবে।
গত ৩টি ধাপে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আমরা এর ডেমো দেখিয়েছি। ওই মতবিনিময় সভায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জিহাদুল কবির, জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম, র্যাব-৮’এর উপ-অধিনায়ক মেজর জাহাঙ্গীর হোসেন, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আলাউদ্দীন, বাবুগঞ্জের ইউএনও শাকিলা রহমান, এসিল্যান্ড সুব্রত বিশ^াস দাস, নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ, বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার খালেদ হোসেন স্বপন, ফারজানা বিনতে ওহাব, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল আহমেদ আজাদ প্রমুখ। এছাড়াও প্রশাসনের ওই মতবিনিময় সভায় বাবুগঞ্জ, উজিরপুর ও বানারীপাড়া উপজেলার প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করেন এবং এককালের সর্বহারা সন্ত্রাস অধ্যুষিত বরিশালের উত্তর জনপদের এই ৩ উপজেলার সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে নানান শঙ্কা ও সংশয় প্রকাশ করেন।
এইচকেআর