ঢাকা বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

Motobad news

বিদ্যুৎকর্মীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা, খুলে নিলো গ্রাহকদের মিটার

বিদ্যুৎকর্মীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা, খুলে নিলো গ্রাহকদের মিটার
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ভোলার লালমোহন উপজেলায় বিদ্যুতের বিল বিতরণকারী কর্মীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডার জেরে চার গ্রাহকের মিটার খুলে নিয়েছেন পল্লী বিদ্যুতের লোকজন। 

 সোমবার দুপুরে উপজেলার নবগঠিত মোতাহারনগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গজারিয়া এলাকা থেকে ওই চার গ্রাহকের মিটার খুলে নেওয়া হয়।

জানা গেছে, গতকাল রোববার বিদ্যুতের বিল বিতরণ করতে লালমোহনের মোতাহারনগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গজারিয়া এলাকায় যান উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মী। 

এ সময় বিল বেশি আসার কথা জানতে চান ওই এলাকার নূর উদ্দিন নামে এক গ্রাহক। তখন বিদ্যুৎকর্মী এবং ওই গ্রাহক বাকবিতণ্ডায় জড়ান।  এছাড়া ওই এলাকার ফোনারী বাড়ির আনিছল হক তার মিটারে কোনো পয়েন্ট দেখা না যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তার সঙ্গেও বাকবিতণ্ডায় জড়ান পল্লী বিদ্যুতের ওই বিল বিতরণকারী কর্মী। 

এরই জের ধরে সোমবার দুপুরে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন গিয়ে চার গ্রাহকের মিটার খুলে নিয়ে যান। মিটার নিয়ে যাওয়া গ্রাহকরা হলেন- মোতাহারনগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গজারিয়া এলাকার নূর উদ্দিন, আনিছল হক, আব্দুল আলী এবং আকতার হোসেন।

অভিযোগ করে মোতাহারনগর ইউনিয়নের গজারিয়া এলাকার ফোনারী বাড়ির পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক আনিছল হক বলেন, আমার মিটারে কোনো পয়েন্ট নেই। অথচ জুন মাসে আমার বিল এসেছে ৬৫৮ টাকা। 

এই বিল তারা কিভাবে করেছে তা জানতে চাই বিল দিতে আসা বিদ্যুৎ অফিসের ওই লোকের কাছে। তিনি এর কোনো উত্তর দিতে পারেননি। যার জন্য তার সঙ্গে সামান্য বাকবিতণ্ডা হয়।

তবে সোমবার অফিস থেকে কয়েকজন লোক এসে আমাদের এলাকার চারজনের মিটার খুলে নিয়ে গেছেন। একই সঙ্গে পুলিশ এনে আমার বাবা আব্দুল আলীকেও নিয়ে গিয়েছেন।

অভিযোগ করে একই এলাকার সেকান্তর আলী মাতাব্বর বাড়ির বিদ্যুৎ গ্রাহক নূর উদ্দিন জানান, মে মাসে আমার বিদ্যুৎ বিল এসেছিল ৩৮৬ টাকা। অথচ জুন মাসে সেই বিল হয়ে গেছে দ্বিগুণ। 

জুন মাসে আমার বিল আসে ৯৯৯ টাকা। বিল দিতে আসা বিদ্যুৎ অফিসের ওই লোকের কাছে বেশি বিল আসার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি সঠিক জবাব দিতে পারেননি। যার জন্য তার সঙ্গে আমারও কাথা কাটাকাটি হয়।

রোববার এ ঘটনা ঘটলেও সোমবার বিদ্যুৎ অফিস থেকে কয়েকজন লোক এসে আমারও মিটার খুলে নিয়ে গেছে। এছাড়া এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকার পরেও আরো দুইজনের মিটার খুলে নিয়ে যায় বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন। আমাদের প্রশ্ন; মিটার আমরা টাকা দিয়ে কিনেছি, তারা কেনো আমাদের মিটার খুলে নেবে?

এ বিষয়ে লালমোহন পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের এজিএম সোয়েব ইবনে বাশার বলেন, বাকবিতণ্ডা নয়, আমাদের বিল বিতরণকারী ওই কর্মীকে তারা মারধর করেছে। 

এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। যেহেতু ওই গ্রাহকরা আমাদের কর্মীকে মারধর করেছে সে জন্য ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনের মিটার খুলে আনা হয়েছে। বিদ্যুতের মিটার কারও ব্যক্তিগত না, এটির মালিক পল্লীবিদ্যুৎ।

এ ব্যাপারে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাহবুব উল আলম জানান, বিদ্যুৎকর্মীকে মারধর সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন