কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল থেকে ৪টি স্মার্ট টিভি নিয়ে উধাও পর্যটক


পটুয়াখালীর পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় একটি আবাসিক হোটেল থেকে ৪টি স্মার্ট টেলিভিশন চুরি করে নিয়ে পালিয়েছে এক পর্যটক।
তিনি ও তার ব্যবসায়ী বন্ধুরা থাকবে বলে হোটেলের চারটি কক্ষ ভাড়া নেন। হোটেলের রেজিস্ট্রি খাতা ও আইডি কার্ডের তথ্য অনুযায়ী, ওই ব্যক্তির নাম শাওন রানা এবং তার বাবা আনোয়ার হোসেন এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা। তবে তথ্য যাচাই করে জানা যায় এটি ভুয়া আইডি কার্ড। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ।
রোববার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল ‘সি লোটাস’ থেকে অভিনব কায়দায় এ চুরির ঘটনা ঘটে।
হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি গতকাল সকালে হোটেলে ওঠেন। তিনি একাধিক কক্ষ ভাড়া নেন এবং নিজেকে ব্যবসায়ী পরিচয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দেন। হোটেল কর্মীদের সঙ্গে আচরণ ভালো করলেও, গতকাল সন্ধ্যা থেকে তাকে আর হোটেলে দেখা যায়নি। এরপর সন্দেহ হলে রুম চেক করে দেখা যায় চারটি রুমেরই টেলিভিশন নেই।
হোটেল ম্যানেজার দীপঙ্কর রায় বলেন, পর্যটক পরিচয়ে শাওন রানা হোটেলের ২০১, ২০২, ২০৭ ও ২০৮ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন। তিনি বলেন, তার সঙ্গে আরও সাতজন আসবেন এবং তারা অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই রুমে উঠবেন। এরপর সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে প্রতিদিনের ন্যায় আমি বিশ্রামে গেলে এই ফাঁকে টেলিভিশনগুলো নিয়ে তিনি চলে যায়। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি রুমে না আসায় ডায়রিতে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক রুমে গিয়ে দেখি চারটি রুমের টেলিভিশন নেই। সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কৌশলে প্রতিটি কক্ষের টিভি খুলে একটি কার্টনে ভরে সুযোগ বুঝে নিয়ে পালিয়ে গেছেন।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, এটি আসলে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। পর্যটকের ছদ্মবেশে কিছু অসাধু চক্র সুযোগ বুঝে অপকর্ম চালিয়ে থাকে। তাই হোটেল কর্তৃপক্ষ ও ম্যানেজারদের আরও সচেতন এবং সতর্ক থাকতে হবে। আমরা দাবি জানাচ্ছি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান বলেন, কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল সি লোটাস থেকে স্মার্ট টেলিভিশন চুরির অভিযোগ পেয়েছি এবং আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি কক্ষ ভাড়া নেওয়ার সময় যে জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করেছে সেটা ভুয়া। তবে আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্তের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
এইচকেআর
