ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Motobad news

ভয়াবহ দূষণের কবলে ঝালকাঠির সুগন্ধা-বাসন্ডা নদী

ভয়াবহ দূষণের কবলে ঝালকাঠির সুগন্ধা-বাসন্ডা নদী
ছবি: সংগৃহীত 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ঝালকাঠি পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় শহরের ময়লা-আবর্জনা সরাসরি ফেলা হচ্ছে নদীতে। এতে ভয়াবহ দূষণের কবলে পড়েছে জেলার প্রধান দুই নদী সুগন্ধা ও বাসন্ডা। নদীর পানি ও পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ছে রোগজীবাণু, হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র্য।

শহরের দুই পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সুগন্ধা ও বাসন্ডা নদী। যুগ যুগ ধরে মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এ নদী দুটি এখন দূষণের কারণে সংকটে। এর মধ্যে সুগন্ধা নদী পরিণত হয়েছে শহরবাসীর ময়লা-আবর্জনার ভাগারে। 


পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাই ময়লার গাড়ি ভর্তি বর্জ্য প্রতিদিন নদীতে ফেলে আসছে। এতে মিষ্টি পানির এ নদীতে ছড়িয়ে পড়ছে রোগজীবাণু, মাছসহ প্রাণিকূলও পড়ছে বিরূপ প্রভাবে। একই অবস্থা বাসন্ডা নদীতেও।
 
উন্নয়নকর্মী মাহাবুব সেকত বলেন, নদীতে ছড়িয়ে পড়া প্লাস্টিক মাছ খাচ্ছে, আর সেই মাছের মাধ্যমে বিষক্রিয়া ঢুকে পড়ছে মানুষের শরীরে। আগের মতো সুগন্ধার মাছের স্বাদও আর নেই।
 
ঝালকাঠির নদী-খাল রক্ষা কমিটির সদস্য লেখক মু. আল-আমীন বাকলাই বলেন, একটা প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় ডাম্পিং স্টেশন থাকবে না—এটা মানা যায় না। খোদ পৌরসভাই নদী দূষণের জন্য দায়ী।
 
পৌরবাসীরা বলছেন, পৌরসভার দায়িত্বহীনতা ও অবহেলার কারণেই দূষণ দিন দিন বাড়ছে।
 
এ বিষয়ে ঝালকাঠি পৌর প্রশাসক জানান, ডাম্পিং স্টেশনের জন্য জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই একটি ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
 
উল্লেখ্য, বৃটিশ আমলে ১৮৭৫ সালে ঝালকাঠি পৌরসভার যাত্রা শুরু হয়। ১৬ দশমিক ৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় বর্তমানে প্রায় ৬০ হাজার মানুষের বসবাস।
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন