শিয়ালবাড়ী অগ্নিকাণ্ডে নিহত প্রকৌশলীর দাফন আমতলীতে সম্পন্ন


ঢাকার মিরপুর শিয়ালবাড়ী কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকান্ডে নিহত আরএন ফ্যাশন পোশাক কারখানার জিএম প্রকৌশলী আল-মামুনের দাফন আমতলী উপজেলার তারিকাটা গ্রামের বাড়িতে সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার দুপুরে তার দাফন শেষ হয়। এর আগে আমতলী ও গ্রামের বাড়ি তারিকাটায় দুই দফায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। ছেলের এমন মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ বৃদ্ধা মা আম্বিয়া খাতুন।
জানা গেছে, ঢাকায় মিরপুর শিয়ালবাড়ী একটি কেমিক্যাল গোডাউল গত মঙ্গলবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই গোডাউনের পাশে আরএন ফ্যাশন পোশাক কারখানা ছিল। ওই কারখানায় কেমিক্যালের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। এতে পোশাক কারখানার জিএম প্রকৌশলী আল-মামুন শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান। মৃত্যুর পাঁচ দিন পর রোববার রাতে তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।
সোমবার সকালে তার মরদেহ আমতলীতে তার শ্বশুর আব্দুস সালামের বাড়িতে নেওয়া হয়। ওই বাড়িতে তার স্ত্রী ইসরাত জাহান এ্যামি তার সাত বছর ছেলে ইসতিয়াক আহমেদ ইবাদ ও দেড় বছরের ছেলে ইমতিয়াজ আহমেদ মুসাফ বসবাস করে। বাড়িতে তার মরদেহ আনা হলে আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কান্নার রোল পড়ে যায়। পরে আমতলী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে তার প্রথম জানাজা এবং গ্রামের বাড়ি তারিকাটায় দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তার জানাজায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। ছেলেকে হারিয়ে বৃদ্ধা মা আম্বিয়া বেগম বাকরুদ্ধ। কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, ‘মোর আর কেউ নাই। কেডা মোরে ওষুধ কেনার টাহা দেবে। ও আল্লাহ ওরে না নিয়া মোরে নিতা। এ কী হরলে আল্লাহ?’
স্ত্রী ইসরাত জাহান এ্যামি বলেন, যার যাবার সে তো চলে গেছে। এখন দুটি শিশু সন্তান কিভাবে মানুষ করব তা নিয়ে ভাবছি?
প্রকৌশলী আল-মামুনের শ্বশুর ইউনুস আলী খান কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুস সালাম বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মরদেহ হস্তান্তর করেছে। সোমবার সকালে এসে আমতলীতে পৌঁছেছি। তিনি বলেন, দুই দফায় জানাজা শেষে মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি তারিকাটা পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন বলেন, সরকারি নিয়ম অনুসারে নিহত প্রকৌশলী আল-মামুনের পরিবারকে সহায়তা করা হয়েছে।
