খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে তিন বাহিনী প্রধান

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে গেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাত ৯টা ২৭ মিনিটে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হৃদপিণ্ড এবং চোখের সমস্যাসহ একাধিক জটিলতায় ভুগছেন।
হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ার পর ২৩ নভেম্বর তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী গত ২৭ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন। সেখানে চিকিৎসকরা যে চিকিৎসা দিচ্ছেন তা তিনি গ্রহণ করতে পারছেন।
জাহিদ হোসেন জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ চিকিৎসাব্যবস্থা তদারক করছেন ও চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এক্ষেত্রে যেসব দেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের ধন্যবাদ দেন জাহিদ হোসেন।
কোনো ধরনের গুজব ছড়ানোর এবং গুজবে কান না দেওয়ার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানান তিনি। বলেন, সবার দোয়া ও আশীর্বাদে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করছি। আপনারা কোনো গুজবে কান দেবেন না। দেশবাসীর দোয়ায় তিনি এই যাত্রায় সুস্থ হয়ে উঠবেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলের বিষয়ে এবং তিনি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে সাংবাদিকদের জানাবেন উল্লেখ করে জাহিদ হোসেন বলেন, আমি তার স্বাস্থ্য বিষয়ে ব্রিফ করবো। এর বাইরে অন্য কারও ব্রিফিংয়ে কান না দেওয়ার জন্য দল আপনাদের অনুরোধ করছে। এটা মানলে গুজব ছড়ানোর কোনো সুযোগ থাকে না।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তাকে দেখছেন। আজকেও দেখার জন্য যুক্তরাজ্য থেকে বিশেষজ্ঞ আসবেন এবং দেখবেন। দেখার পর যদি বিদেশে নেওয়ার মতো হয়, যদি প্রয়োজন পড়ে, তখনই নিয়ে যাওয়া হবে। আমাদের সব প্রস্তুতি আছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, রোগীর বর্তমান অবস্থা এবং সর্বোপরি মেডিকেল বোর্ডের বাইরে কোনো কিছু করার সুযোগ এ মুহূর্তে আমাদের নেই।
এইচকেআর