যে ৫৭ দল অংশ নিতে পারে নির্বাচনে, কী তাদের প্রতীক

অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এবার রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের নিবন্ধনও স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া তিনটি দলের নিবন্ধন বাতিল করা হয়। ফলে বর্তমানে নিবন্ধিত দল রয়েছে ৫৭টি। এই দলগুলো আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। তবে দলের সংখ্যা সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের শেষ তারিখ ১১ জানুয়ারি। আপিলের শুনানি ১২ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। ২১ জানুয়ারি রিটার্নিং কর্মকর্তা থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ। ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা চলবে।
তবে এবারের ভোটে কয়টি দল অংশ নিতে পারবে তা নির্ভর করবে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর। কারণ এর পর দলগুলোর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। ২৯ ডিসেম্বর জানা যাবে কয়টি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
ইসি থেকে জানা গেছে, বর্তমানে ইসির নিবন্ধিত দল ৬১ট। এর মধ্যে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া স্থগিত আছে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন।
বর্তমানে ইসির নিবন্ধিত দলগুলো হলো- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি (ধানের শীষ), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (দাঁড়িপাল্লা), জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি (শাপলা কলি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এলডিপি (ছাতা, জাতীয় পার্টি–জেপি (বাইসাইকেল), বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-এম এল(চাকা), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ (গামছা), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (কাস্তে), গণতন্ত্রী পার্টি (কবুতর), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (কুঁড়েঘর), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (হাতুড়ি), বিকল্পধারা বাংলাদেশ (কুলা), জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (মশাল), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি (তারা), জাকের পার্টি (গোলাপ ফুল), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মই), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি (গরু গাড়ি), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (ফুলের মালা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বটগাছ), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হারিকেন), ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি) (আম), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (খেজুরগাছ)।
এছাড়া গণফোরাম (উদীয়মান সূর্য), গণফ্রন্ট (মাছ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ (গাভী), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি), ইসলামী ঐক্যজোট (মিনার), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (রিকশা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (হাতপাখা), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি), জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা (চশমা), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি (কোদাল), খেলাফত মজলিস (দেওয়াল ঘড়ি), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএ (পাঞ্জা), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (ছড়ি), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ (টেলিভিশন), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম (সিংহ), বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব), তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আঁশ), ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ (আপেল), বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-বাংলাদেশ জাসদ। (মোটরগাড়ি -কার), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম (নোঙ্গর), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) (একতারা), আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)(ঈগল), গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) (ট্রাক), নাগরিক ঐক্য (কেটলি), গণসংহতি আন্দোলন (মাথাল), বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ফুলকপি), বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি)(রকেট), বাংলাদেশ লেবার পার্টি (আনারস), বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি) (হাতি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) (কাচিঁ), জনতার দল (কলম), আমজনতার দল (প্রজাপতি)।
এইচকেআর