রিকশার দখলে বরিশালের রাজপথ, গলা কাটা ভাড়া আদায়

বরিশালে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর লকডাউনে বিপাকে পড়েছে জরুরী কাজে বাইরে বের হওয়া সাধারণ মানুষ। যাত্রী পরিবহনের থ্রি-হুইলার, মোটরচালিত রিকশা বন্ধ থাকলেও চলছে শুধু পায়ে চালিত রিকশা। তবে অস্বাভাবিক ভাড়া আদায় করছেন চালকরা। রিকশার দখলে যেন বরিশালের রাজপথ।
লকডাউনে সিমীত পরিসরে রিকশা ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না অনেকে। কাছে, দূরে যেকোনো গন্তব্যে যেতে রিকশাই এখন একমাত্র ভরসা। এই সুযোগে ইচ্ছামতো ভাড়া দাবি করছেন রিকশা চালকরা। এই ভাড়া এখন পূর্বের চেয়ে দ্বিগুণ। একরকম সিন্ডিকেট করে রিকশাচালকরা ভাড়া আদায় করছেন।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লকডাউনের আগে রূপাতলী থেকে পুলিশ লাইন্স পর্যন্ত ৪০ টাকা ভাড়া হলেও বর্তমানে ৮০ টাকা, রূপাতলী থেকে লঞ্চঘাট ৫০ টাকা আগের ভাড়া হলেও বর্তমানে ১২০ টাকা রাখা হচ্ছে, রূপাতলী থেকে নথুল্লাবাদ ৫০ টাকা ভাড়া হলেও বর্তমানে ১০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
স্থানীয় একটি দৈনিকের বার্তা সম্পাদক এইচকে রোকন জানিয়েছেন, প্যাডেল চালিত রিকশাওয়ালারা মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন। লকডাউনে প্রয়োজনীয় কাজ বা হাসপাতালে যেতে এদের হাতে জিম্মি নগরবাসী। আরেক যাত্রী রোকসানা কলি বলেন, এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে রোগী নিয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছি এক রিকশায়। ভাড়ার চুক্তি হয়েছে ৮০ টাকা। অথচ আগে এই আধা কিলোমিটারের একটু বেশি পথ পায়ে চালিত রিকশায় যেতাম ৩০/৪০ টাকায়। তার দাবী লকডাউনে যেসব যানবাহন চলাচল করতে পারবে তাদের ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত।
বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ, রূপাতলী, বাংলাবাজার, সদর রোড, পোর্ট রোড, নতুন বাজার, হাটখোলা, চকবাজার ও লঞ্চঘাট এসব রুটে দ্বিগুণ ভাড়ায় গন্তব্যে ছুটছেন জরুরি কাজে বাইরে বের হওয়া সাধারণ মানুষ।
এমবি
