ঢাকা রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Motobad news

খাদ্য সংকটে শেবাচিমের রোগী ও স্বজনরা

খাদ্য সংকটে শেবাচিমের রোগী ও স্বজনরা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সাত দিনের লকডাউন চলছে। বরিশালে নগরীতে তৃতীয় দিনের লকডাউনেও কঠোর অবস্থানে ছিলো প্রশাসন। নগরীর সকল খাবার হোটেল আগামি ৭ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ করে দেয় হয়েছে। এদিকে খাবার হোটেল বন্ধ করায় খাবার সংকটে পরেছে দূর থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনরা। হোটেলে ভাত না পেয়ে রোগীর স্বজনরা আহাজারী করায় স্বজনদের খাবার দিয়ে সহযোগীতা করে হাসপাতালের সামনের খাবার হোটেল মালিকরা।

গতকাল শনিবার (৩ জুলাই) সরজমিনে দেখা যায় নগরীর নতুনবাজার, চৌমাথা, বটতলা, নথুল্লাবাদ, রুপাতলী, সাগরদী, চাঁদামারী, লঞ্চঘাট, সদর রোড, শেবাচিম, সদর হাসপাতাল জেলখানার মোড়ের হোটেলসহ আনান্য খাবার হোটেল গুলো বন্ধা ছিলো। 

 
এদিকে নগরীরর প্রায় সব হোটেল বন্ধ থাকায় খাবার সংকটে পরেছে ব্যাচেলর চাকুরীজীবী, বরিশালের অনান্য জেলা থেকে চিকিৎসা নিতে আসার রোগী ও রোগীর স্বজনরা, রিক্সা চালকসহ আরো শ্রমজীবী মানুষ।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা খাবার সংকটে পরায় হাসপাতালের সামনের নিউ রাধুনী, ভোলা, হাওলাদার, তাওহীদ, ভাই-ভাই, নন্দিনী, মিতালী খাবার হোটেল মালিকার ৮০ কেজি চালের খাবার রান্না করে পরিবেশন করেন।

হাওলাদার হোটেলের মালিক অলি হাওলাদার ভোরের আলোকে জানান, ‘বরিশালের অন্য অন্য জেলা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী এবং রোগীর  স্বজনরা খাবার  না পেয়ে খুব অসহায় হয়ে পরেছিলো তাই আমরা সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছি। এই হাসপাতালের সামানে যতগুলো ভাতের হোটেল আছে সবাই মিলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিছু সংখ্যক মানুষের মাঝে খাবার পরিবেশন করেছি।


 
বরিশাল জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরো বলেন,‘এই মহামারির মাঝে দূর থেকে যারা চিকিৎসা নিতে বরিশালে এসেছে তারা অনেকেই বিপদের মাঝে আছে। তার মধ্যে খাবার না পেয়ে আরও বিপদে পরেছে তাই আমাদের অনুরোধ এই রোগীদের আর রোগীর স্বজনদের জন্য হাসপাতাল গুলোর সামনের ভাতের হোটেল গুলো খুলে দেয়া হোক।

ঝালকাঠি থেকে চিকিৎসা নিতে আাসা রোগীর স্বজন সবুজ হায়দার বলেন, ‘চিকিৎসা নিতে আইয়া এহন খাবার না পাইয়া মরা লাগবে। আমার রোগীর গ্যাসের সমস্যা। ভাত না পাইয়া এহন রোগীর লগে কলা-রুটি খাইয়া দিন কাডান লাগবে।’

অন্য দিকে ভাতের হোটেল বন্ধথাকায় নগরীতে অনেক হোটেলে মালিকরা রুটি আর কলা বিক্রি করতে দেখা যায়।


 
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ২ জুলাই বরিশাল সার্কিট হাউজে ‘করোনা প্রতিরোধ কমিটি’র সভায় সরকার ঘোষিত লকডাউন কঠোর ভরেব বাস্তবায়নে গতকাল শনিবার থেকে বরিশাল জেলার সকল প্রকার খাবার হোটেল, রেস্তোরাঁ বন্ধ ও বিকেল ৫টার পরে ফার্মেসী ব্যতিত সকল দোকান বন্ধ দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। 


এমবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন