ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

Motobad news

লকডাউন ঘোষণায় বরিশালে নিত্যপণ্যের দোকানগুলোতে ভিড় 

লকডাউন ঘোষণায় বরিশালে নিত্যপণ্যের দোকানগুলোতে ভিড় 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

 

করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে আবারও ‘লকডাউনের’ ঘোষণা আসছে— এমন খবরে বরিশাল নগরীর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানগুলোতে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। অনেকেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য কিনে বাড়ি ফিরছেন।

শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত  বরিশাল নগরীর রুপাতলী, চৌমাথা, নতুন বাজার , বাংলাবাজার, পোর্ট রোড বাজার  ও  বিভিন্ন মার্কেটসহ আশপাশের বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

দোকানিরা জানান, বিকেল ৩টার পর থেকে দোকানে ক্রেতা সমাগম বাড়তে শুরু করে। অনেকেই ১০ থেকে ১৫ দিনের বাজার একবারে সংগ্রহ করে বাড়ি ফিরছেন। এসব বাজারে সাধারণত দুপুর ১টার পরে ভিড় দেখা যায় না। তবে আজ লকডাউন আসছে— এমন খবরে দুপুরের পর থেকে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়েছে। সময় যত যাচ্ছে ক্রেতারা তত ভিড় জমাচ্ছেন। 

সদর রোডের দোকানি লিটন  মতবাদকে বলেন, দুপুরের পর থেকে বাজারে সাধারণত ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকে। আজ অন্যান্য দিনের চেয়ে একটু বেশি ক্রেতা দেখা যাচ্ছে। সামনে রোজা ও লকডাউন— এ দুই কারণে হয়তো ক্রেতারা একবারে বেশি পণ্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়,  প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকা, গুটি চাল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, দেশি রসুন ১০০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, মোটা ডাল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ছোলা ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের ডজন মিলছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।

বাংলাবাজারে  কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী হোসেন আলীর  সঙ্গে। তিনি বলেন, সামনে রমজান মাস তাই আগে থেকে বাজার করার পরিকল্পনা ছিল। ভেবেছিলাম আরও কয়েকদিন পর করব। আজ হঠাৎ লকডাউনের ঘোষণার পর দ্রুত বাজারে আসতে হলো। লকডাউনের কারণে যদি দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারব না।


এদিকে ফার্মেসি ও বিভিন্ন দোকানে বেড়েছে হ্যান্ডওয়াশ ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা। রুপাতলী এলাকার কাঁচাবাজারের মুদি দোকানদার  কালাম বলেন, ইতোমধ্যে লাইফবয়, স্যাভলন ও ডেটল হ্যান্ডওয়াশের রিফিল প্যাক শেষ হয়ে গেছে। ক্রেতা আসছেন কিন্তু দোকানে মজুত না থাকায় দিতে পারছি না। 

বেড়েছে মাস্কের চাহিদাও। লকডাউন ঘোষণার পর ফুটপাত থেকে মার্কেট সব জায়গায়ই মাস্ক কিনতে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। এ সুযোগে বেশি দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। সকালে পাঁচটি সার্জিক্যাল মাস্ক ১০টাকায় বিক্রি হলেও এখন একটি মাস্কের দাম চাওয়া হচ্ছে ১০টাকা। 

হঠাৎ কেন অতিরিক্ত দাম রাখা হচ্ছে— এমন প্রশ্নের উত্তরে কোনো সদুত্তর দিতে পারলেন না সদর রোডের মাস্ক বিক্রেতা রিপন । তিনি বলেন, আগামী সাতদিন লকডাউন থাকবে। আমরা কীভাবে খাব? কীভাবে চলব? অতিরিক্ত টাকা না নিলে তো না খেয়ে মরতে হবে।


 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন