গৌরনদীতে অর্ধশতাধিক মানুষকে বেঁধে ফিল্মি স্টাইলে বাজারে ডাকাতি

বরিশালের গৌরনদীতে টরকী বন্দরের রায়পট্টিতে পাহারাদারসহ অর্ধশতাধিক মানুষকে বেঁধে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে । পরে পালরদি নদী হয়ে ট্রলারে পালিয়ে যায় ডাকাতদল।
তারা আরও জানান, ডাকাতদল প্রথমে ছয়জন পাহারাদার, বন্দরে চলাচলরত ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও পথচারীসহ অর্ধশতাধিক মানুষকে জিম্মি করে। তাদের বেঁধে ফেলার পর ডাকাতি শুরু করে।
দলের সদস্যদের বেশির ভাগই শর্টপ্যান্ট, গেঞ্জি ও মুখোশ পরে ছিল। যাওয়ার পথে একাধিক পথচারীকে মারধর করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তারা। পরে ভোর ৪টার দিকে দলটি দুটি ভাগ হয়ে পালরদী নদী দিয়ে ট্রলারে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।
স্বাধীনতার পর সবচেয়ে ভয়াবহ এ ডাকাতিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বন্দরের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা। সেখানে থাকা পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরতদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
বন্দরের ব্যবসায়ী সহিদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার টরকী বন্দরে সাপ্তাহিক হাট ছিল। শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের নগদ অর্থ যার যার প্রতিষ্ঠানেই ছিল। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে ডাকাতদল।
গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন হাওলাদার বলেন, ‘স্বাধীনতার পর ৫০ বছরে এ ধরনের ঘটনা টরকী বন্দরে কখনও ঘটেনি। অথচ এই বন্দরে একটি পুলিশ ফাঁড়িও রয়েছে। ঘটনাটি আমাদের বিস্মিত করেছে।’
টরকী বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও বরিশাল জেলা পরিষদের সদস্য রাজু আহম্মদ হারুন বলেন, ‘অর্ধশতাধিক মানুষকে বেঁধে ফিল্মি স্টাইলে ১৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙে টাকা ও সিগারেট লুট করা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য আতঙ্কের।’
বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরনদী সার্কেল) আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, ‘আমরা সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অপরাধীদের শনাক্তে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।
এইচেকআর