ভাইস চেয়ারম্যান স্ত্রীর সন্ধান চেয়ে কৌতুক অভিনেতার পোস্ট


নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আক্তার কল্পনা পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছেন। গত ১৩ আগস্ট ছেলেকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি।
খালেদা উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়নের খাদাইল গ্রামের কৌতুক অভিনেতা শামীনুর রাহমান ওরফে চিকন আলীর স্ত্রী।
চিকন আলী বুধবার রাত ১১টায় ফেসবুকে পোস্ট দেন। এতে তিনি লেখেন, ‘বদলগাছী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আক্তার কল্পনা পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে গত শুক্রবার বের হয়ে গেছেন। যদি কেউ তার সন্ধান পেয়ে থাকেন, নিকটস্থ থানায় অবহিত করবেন... ধন্যবাদ।’
চিকন আলীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার খালেদা বাড়ি থেকে বড় ছেলে আরিয়ান ও ছোট ছেলে আহ্বানকে সঙ্গে নিয়ে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলায় চিকিৎসার জন্য যান।
চিকিৎসা শেষে বড় ছেলেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ছোট ছেলেকে নিয়ে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। তার মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার সন্ধান চেয়ে ফেসবুকে ছবিসহ পোস্ট দেন চিকন আলী।
তবে ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বুধবার উপজেলা পরিষদে গিয়েছিলেন। সেখানে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে উপজেলা থেকে বেরিয়ে যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল্পনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বুধবার উপজেলা পরিষদের এসেছিলেন। এ ছাড়া তিনি আমার সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছেন।’
শামীনুর রাহমান ওরফে চিকন আলী বলেন, ‘ভালোবেসে তাকে (খালেদকে) বিয়ে করেছিলাম। বিয়ের আগে বুঝতে পারিনি বিভিন্নজনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। এর মধ্যে এক সন্তান জন্ম নেয়।
‘সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে সংসার করছিলাম। কিন্তু কিছুতেই সে সংশোধন হচ্ছিল না। পরে সিদ্ধান্ত নিলাম আমার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে তাকে জনপ্রতিনিধি করার। কারণ জনপ্রতিনিধি হলে আত্মসম্মানের জন্য হয়তো ভালো হবে। এরপর ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পর বয়স্ক, বিধবা ভাতাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আসতে থাকে। এলাকার কোনো উন্নয়ন না করে সবকিছু আত্মসাৎ করত। এলাকাবাসী আমাকে ফোন করে এসব অভিযোগ করত।
‘আত্মসাৎ করা টাকা তার বাবার বাড়িতে পাঠাত। এসব বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার মনোমানিল্য হয়। তাকে সংশোধন হতে বলা হয়। উল্টো আমাকেই মামলার হুমকি দেয়। ছেলের চিকিৎসা করানো কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।
‘এমনকি তার ফোন নম্বরও বন্ধ আছে। তার বাবার বাড়িতে কয়েক ঘণ্টা ছিল বলে শুনেছি। তার অনিয়মের বিষয়গুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
এ ব্যাপারে বদলগাছী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আক্তার কল্পনার ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এইচেকআর
