বরিশালে ইফতার বিক্রিতে ধস

অদৃশ্য ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশের মতো সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন চলছে। মানুষের আনাগোনা কমেছে সড়কে। তবে পবিত্র মাহে রমজানের ইফতার কিনতে অনেকেই বিকেলের পর বাসা থেকে বের হয়েছেন। লকডাউনে অনেক দোকান বন্ধ থাকায় এবার চাহিদার তুলনায় নগরীতে ইফতার বিক্রির দোকানের সংখ্যা কম। ধস নেমেছে ইফতার বিক্রিতে।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিকেল তিনটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বেশ কিছু এলাকায় হোটেল রেস্টুরেন্টের দোকানের পাশাপাশি অস্থায়ী ইফতারের দোকান দেখা গেছে।
সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ছোট পরিসরে ইফতার বিক্রির অস্থায়ী দোকান সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এসব দোকানে আগের মতো সাজসজ্জা ও জৌলুস নেই। নেই ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে হাকডাক। যেন ইফতার কেনাবেচা নিয়ে ছিল না চিরচেনা উৎসবের আমেজ। বেচাকেনাও তেমন হয়নি।
বেশির ভাগ ইফতারের দোকানে ছোলা, বুন্দিয়া, বাহারি জিলাপি, রকমারি চপ, পেঁয়াজু, মসকোট হালুয়া, ছানার পোলাও, নিমকি, চিড়াভাজা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়া মোড়ে মোড়ে বিক্রি হয়েছে মুড়ি, কলা ও খেজুরসহ ইফতারের প্রয়োজনীয় তরলপানীয়।
হোটেলের মালিক লাভলু ইসলাম বলেন, করোনা মহামারির কারণে সীমিত পরিসরে হোটেল, রেস্তোরাঁ ও বেকারি মালিকরা অস্থায়ী দোকান বসিয়েছেন। লকডাউনের কারণে দোকানগুলোতে ভিড় দেখা যায়নি। সরকারি নির্দেশনা মেনে ইফতার সামগ্রীর বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রভাবে ক্রেতাদের তেমন চাপ নেই।
টিএইচএ/