ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

Motobad news

পিরোজপুরে মৃত্যুর ১৪ বছর পর ব্যবসায়ীর মরদেহ উত্তোলন

পিরোজপুরে মৃত্যুর ১৪ বছর পর ব্যবসায়ীর মরদেহ উত্তোলন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পিরোজপুরের কাউখালীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুম ও হত্যার শিকার ব্যবসায়ী নাজমুল হক মুরাদের সঠিক পরিচয় নির্ধারণ করতে দ্বিতীয়বার মরদেহ উত্তোলন করে ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে।

সোমবার সকালে উপজেলার পার সাতুরিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত হতে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি কার্যালয় থেকে অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পিরোজপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান গত মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এ আদেশ দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গুম কমিশনের সদস্য মানবাধিকার কর্মী নূর খান, কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজল মোল্লা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত দেবনাথ, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইসতিয়াক আহমেদ, কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান, মামলার বাদী মুরাদের ভাই মিরাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করেন।

জানা গেছে, আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন খান মাসুদ হত্যা মামলার আসামি কাউখালীর ব্যবসায়ী মুরাদ, রাজাপুর উপজেলার নৈকাঠী গ্রামের মিজান জোমাদ্দার ও ফোরকানকে ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার উত্তরা থেকে র‌্যাব পরিচয়ে নিয়ে যায়। এরপরে তাদের কোনো সন্ধান পায়নি তাদের পরিবার। 

১০ দিন পরে ২৭ এপ্রিল ২০১১ ঢাকার তুরাগ তীরে বালির নিচ থেকে বস্তাবন্দি ৩ যুবকের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তিনজনের পরিবার তাদের মরদেহ শনাক্ত করে প্রত্যেকের বাড়িতে দাফন করে।

কাউখালীতে আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন খান মাসুদ হত্যা মামলায় গুপ্ত হত্যায় নিহত দুজন আসামি থাকায় বাদী নিহত দুই আসামির ডিএনএ টেস্টের আবেদন করলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঢাকার সিএমএম আদালতের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট একেএম এনামুল হক ২০১১ সালের জুন মাসে মুরাদ ও মিজানের ডিএনএ টেস্ট এর নির্দেশ দেন। ২০১১ সালের ৪ জুলাই কাউখালীর পারসাতুরিয়া গ্রামে নাজমুল হক মুরাদের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে মরদেহের দাঁতসহ বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করে ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠানো হয়। 

পরে ডিএনএ টেস্টে কাউখালীতে দাফন দেওয়া লাশ মুরাদের নয় বলে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক। মামলায় মিজান ও মুরাদকে জীবিত দেখিয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়ে ছিল।

কিন্তু দীর্ঘ ১৪ বছরে মুরাদের ছোট ভাই নাজমুল হক মুরাদের সঠিক সন্ধান এবং তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি নিকট। 


পরে গত ২৮ এপ্রিল (২০২৫) গুম সংক্রান্ত কমিশন এর দুজন সদস্য কাউখালীতে আসেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘটনার বিবরণ শুনে মুরাদের মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নির্দেশ দেন।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন