আজ বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস


প্রতি বছর আজ ২৮ জুলাই বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস। দিনটির মূল লক্ষ্য হলো ভাইরাল হেপাটাইটিস সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং এই নীরব ঘাতকের বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াই নিশ্চিত করা।
২০২৫ সালের প্রতিপাদ্য: “আসুন রুখে দিই: সঠিক তথ্য জানুন, পদক্ষেপ নিন”—এই আহ্বান আমাদের সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণে উৎসাহিত করে।
হেপাটাইটিস একটি মারাত্মক লিভার সংক্রমণ, যা হেপাটাইটিস A, B, C, D এবং E ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়ায়। এর মধ্যে হেপাটাইটিস B ও C দীর্ঘমেয়াদি লিভার রোগ ও লিভার ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত, অথচ অনেকেই নিজের অজান্তেই রোগটি বহন করে চলেছেন।
সংক্রমণ: হেপাটাইটিস A এবং E সাধারণত সংক্রামিত খাবার ও পানির মাধ্যমে ছড়ায়, যেখানে B, C এবং D প্রধানত সংক্রামিত রক্ত বা শরীরের তরলের সংস্পর্শের মাধ্যমে এবং অনিরাপদ যৌন সম্পর্কের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।
হেপাটাইটিস বি, সি মারাত্মক ভাইরাস। এটি সাধারণত রক্তের মাধ্যমে ছড়ায়। তা ছাড়া একই ইনজেকশন সিরিঞ্জ অনেকে ব্যবহার করলে বা অনিরাপদ যৌনমিলনে এটা ছড়াতে পারে।
প্রতিরোধ:
সঠিকভাবে হাত ধোয়া, নিরাপদ খাদ্য ও পানি গ্রহণ করা, এবং টিকা নেয়ার মাধ্যমে হেপাটাইটিস A ও E প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
হেপাটাইটিস B-এর টিকা পাওয়া যায় এবং এটি একটি কার্যকর প্রতিরোধক।
o হেপাটাইটিস C-এর জন্য নিরাপদ রক্ত সঞ্চালন এবং ইনজেকশন সরঞ্জাম ব্যবহারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের প্রতিরোধক টিকা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি।
হেপাটাইটিস বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রতিরোধযোগ্য। টিকাদান, নিরাপদ রক্তসঞ্চালন, জীবাণুমুক্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম ব্যবহার এবং সঠিক স্বাস্থ্য সচেতনতা এই ভাইরাস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্তমানে মারাত্মক ব্যাধি হেপাটাইটিস বি ও হেপাটাইটিস সি র নিরাময় যোগ্য চিকিৎসা রয়েছে। সময়মতো পরীক্ষা ও চিকিৎসা গ্রহণ জীবন বাঁচাতে পারে।
আসুন, আমরা সকলে মিলে হেপাটাইটিস-মুক্ত একটি ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাই।
ডাঃ সুব্রত পাল
এফসিপিএস( মেডিসিন)
এফসিপিএস (গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি)
ইন্টারভেনশনাল গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
এইচকেআর
