থেমে থেমে বৃষ্টির প্রভাবে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ


সারা দেশে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না ডেঙ্গুর প্রকোপ। বরং থেমে থেমে বৃষ্টির প্রভাবে বাড়ছে এডিসের প্রজনন। এতে হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে রোগীদের। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় এডিস মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। কীটতত্ত্ববিদের মতে, নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতার বিকল্প নেই।
শরতের আকাশে কখনো ঝলমলে রোদ। আবার কখনো মেঘের ঘনঘটা। অল্প বৃষ্টিতে রাস্তার ধারে বা ছাদের টবসহ বিভিন্ন স্থানে জমে যায় পানি। আর সেখানেই এডিস মশার লার্ভার উৎপত্তি। তাই বছরের এই সময়টিতে সারা দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ।
রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন শত শত ডেঙ্গু রোগী। তারা বলছেন, জ্বরের সঙ্গে অনুভূত হচ্ছে প্রচণ্ড ব্যথা। অনেক সময় কমে যাচ্ছে প্লাটিলেট। কারও কারও ফুলে যাচ্ছে শরীরের বিভিন্ন অংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত আট মাসে প্রায় ২৭ হাজারের বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা।
এডিসের লার্ভা ধ্বংসে জনগণের সম্পৃক্তা ও সচেতনতার বিকল্প নেই বলে মনে করেন কীটতত্ত্ববিদরা।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, মানুষের সম্পৃক্ততা ছাড়া শুধু সরকার একা এডিস মশা বা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। এজন্য আমাদের সম্মিলিত প্রয়াসই লাগবে।
মৃত্যুঝুঁকি কমাতে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠদের বিশেষ যত্ন নেয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
এইচকেআর
