বরিশালে হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা দূর করাসহ বিভিন্ন দাবিতে ব্লকেড


বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে নগরীর নথুল্লাবাদ মোড়ে ‘বরিশাল ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। তবে অবরোধ চলাকালে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যানবাহনের চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে আন্দোলনকারীরা ইমার্জেন্সি লেন তৈরি করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন।
আন্দোলনকারী বিএম কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুল সৈকত বলেন, ‘সারাদেশের স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থা, ভোগান্তি ও হয়রানির বিরুদ্ধে বরিশালের ছাত্রসমাজ ও বরিশালবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। চিকিৎসা একটি মৌলিক অধিকার; এ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেলের সব ধরনের সিন্ডিকেট ভেঙে সংস্কার করা এখন সময়ের দাবি। যাতে প্রতিটি সাধারণ মানুষ তার ন্যায্য চিকিৎসাসেবা পায়।’
আন্দোলনের মুখপাত্র নাভিদ নাসিফ বলেন, ‘আন্দোলন নির্দিষ্ট কোনো দল বা গোষ্ঠীর নয়, এটি সাধারণ মানুষের ন্যায্য দাবির আন্দোলন। যে কোনো পক্ষ থেকে এ আন্দোলনকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করা হলে সেটি সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করা হবে।’
সামাজিক আন্দোলনের নেতা ও স্বাস্থ্যখাত আন্দোলনের পথিকৃৎ মহিউদ্দিন রনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বরিশালবাসীর আর্তনাদ এখনো মন্ত্রণালয় পর্যন্ত পৌঁছায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক এখনো নড়ে না। যদি শেবাচিমে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ওপর দুর্নীতি, ভোগান্তি, অবহেলা চলতে থাকে, তাহলে এ আন্দোলন আরও কঠোর ও ব্যাপকতর রূপ নিতে বাধ্য হবে।
এদিকে কুয়াকাটা থেকে আশা গাড়িগুলো সিঅ্যান্ডবি রোডের চৌমাথা থেকে নবগ্রাম রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। এ বাস কাশিপুর চৌমাথা থেকে হাইওয়েতে যুক্ত হচ্ছে। একইভাবে ঢাকা থেকে কুয়াকাটাগামী গাড়ি এই পথে যাতায়াত করছে। প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে গেলেও বসে থাকতে হচ্ছে না।
এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সংবাদ সম্মেলন করে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে তিনমাস সময় চেয়েছেন।
এইচকেআর
