ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

Motobad news
বৃহস্পতিবার ‘মার্চ টু যমুনা’

কঠোর হচ্ছে শিক্ষকদের আন্দোলন, এবার এক দফা ঘোষণা

কঠোর হচ্ছে শিক্ষকদের আন্দোলন, এবার এক দফা ঘোষণা
ছবি: সংগৃহীত 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

আগের তিন দফা দাবি থেকে সরে এসে এবার সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে কঠোর আন্দোলনের শুরুর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। বুধবার রাতের মধ্যে তিন দফা দাবি পূরণের প্রজ্ঞাপন না জারি হলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এক দফা দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে তিন ঘণ্টার অবরোধ শেষে শহীদ মিনারে ফিরে এ ঘোষণা দেন ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী।

তিনি বলেন, ‘বুধবারের মধ্যে আমাদের তিন দফা দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলে আমরা আর তিন দফায় থাকব না। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে শহীদ মিনারে শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলন করবেন।’

আন্দোলনরত শিক্ষকরা সরকারকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে তারা শহীদ মিনার থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।

এর আগে তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে ১,৫০০ টাকায় উন্নীত করা এবং উৎসব ভাতা ৫০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ করার তিন দফা দাবি জানিয়েছিলেন। রোববার থেকে টানা চার দিন শাহবাগ ও শহীদ মিনারে অবস্থান, বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

শিক্ষকরা বলছেন, সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ মানে দেশের প্রায় ৩১ হাজার এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ সরকারের কাছে হস্তান্তর এবং প্রায় ছয় লাখ শিক্ষক-কর্মচারীকে রাজস্ব খাতে আত্তীকরণ করা। এতে শিক্ষাক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা ফিরবে এবং শিক্ষার্থীরা কম খরচে মানসম্পন্ন শিক্ষা পাবে বলে তাদের দাবি।

বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরাম-বিটিএফের সভাপতি ও আন্দোলনকারীদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হাবিবুল্লাহ রাজু বলেন, ‘সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হলে শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি নিয়মে সুযোগ সুবিধা পাবেন। সে ক্ষেত্রে ঢাকা ও চট্টগ্রামের শিক্ষক কর্মচারীরা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ, শতভাগ উৎসব ভাতা এবং চিকিৎসা ভাতা পাবেন। আর জাতীয়করণের মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারিত হবে।’

চতুর্থ দিনের মত অবস্থান কর্মসূচি পালন করা শিক্ষক-কর্মচারীরা বুধবার দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বিকাল রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে এসে অবস্থান নেন।

দাবি মেনে নিতে বুধবার সরকারকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। দাবি পূরণ না হওয়ায় পূর্বঘোষিত ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচি পালনে দুপুর তারা শাহবাগ মোড় আটকে দেন।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন