আমতলীতে ব্রিজ ভেঙে খালে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ১০ হাজার মানুষ
বরগুনার আমতলীতে একটি আয়রন ব্রিজ ভেঙে খালে পড়ে গেছে। শনিবার বিকালে হলদিয়া ইউনিয়নের জলেখা স্লুইজ সলগ্ন বড় মোল্লা বাড়ীর সামনে কাদির খাঁ খালে নির্মিত আয়রন ব্রিজটি ভেঙে ১০ হাজার মানুষের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। জানা গেছে, ২০০৫ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ জলেখা স্লুইজ সলগ্ন মোল্লা বাড়ীর সামনে কাদির খাঁ খালে আয়রন ব্রিজটি নির্মাণ করেন। নির্মাণের ১৬ বছরের মাথায় ব্রিজটির মাঝখানের অংশ ভেঙে খালেপড়ে যায়।
এ ব্রিজ দিয়ে হলদিয়া , তক্তাবুনিয়া , গুরুদল, কুলাইরচর, টেপুরা, অফিস বাজার, মীরা কান্দা গ্রামের ১০ হাজার মানুষ চলাচল করে। এ ব্রিজ দিয়ে দক্ষিন তক্তাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় , জেবিসনের হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব হলদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যায় । এসব গ্রামের মানুষরা হলদিয় ইউনিয়ন পরিষদ উপজেলা সদরে যাতায়াত করে এ ব্রিজ দিয়ে। মোল্লা বাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মো. হিরন মোল্লা বলেন, ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় গ্রামগুলোর ১০ হাজার লোকের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। হলদিয়া ইউনিয়নের বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. নান্নু মোল্লা বলেন, এই ব্রিজটি এলাকার মানুষদের ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ।
ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষের । শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা ও যাওয়া বন্দ হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, কয়েক বছর পূর্বে আমতলীর স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর বিভাগ এখানে গার্ডার ব্রিজের স্থাপনের জন্য মাটির সয়েল টেস্ট করেছেন কিন্তু তার কোন কার্যক্রম নাই। এলাকাবাসী দ্রুত গার্ডার ব্রিজ স্থাপনের দাবী জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল্ল আল মামুন বলেন, শনিবার বিকালে আয়রন ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে সেখানে লোক পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হবে। হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, জনসাধারনের দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপকের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ভাঙা ব্রিজ এলাকা পরিদর্শন করে মানুষের যাতে দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমবি