শিশুরাই বন্ধ করলো বাল্যবিয়ে
'অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসা ঠিক নয়। আমরা সবাই পড়ালেখা করছি। তোমারও পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হবে। তারপর সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হবে।' কনের বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ের এসব ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরে এবং বুঝিয়ে বলে শিশুরা।
শিশুদের কথা প্রথমে রাখতে রাজি হয়নি কনের পরিবার। এরপর উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও সংবাদকর্মীরা সেখানে ছুটে যায় এবং বিয়েটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীর উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শামসুল হক হাওলাদারের ছেলে মো. শামীম হাওলাদারের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে বরগুনার বেতাগী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিশুরা গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কনের বাড়ি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ছুটে যায়। তাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে প্রশাসন গিয়ে বাল্যবিয়েটি বন্ধ করে।
এ সময় উপস্থিত প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেন, শিশুদের এ অগ্রণীভূমিকাকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাদের সহায়তা না হলে হয়তো বা প্রশাসন পর্যন্ত খবর পেত না। আজকে এ বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে এসব শিশুদের মূখ্য ভূমিকা ছিল।
এমবি