ঢাকা সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

Motobad news

আনসারদের গুলিতে চোখ হারানো আ’লীগ নেতাদের জামিন

আনসারদের গুলিতে চোখ হারানো আ’লীগ নেতাদের জামিন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরিশালে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে হামলার অভিযোগে ইউএনও’র নিরাপত্তা রক্ষী আনসার সদস্যদের ছোড়া গুলিতে চোখ হারানো আওয়ামীলীগের ২ নেতার  জামিন দিয়েছে আদালত।

আসামি পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ রোববার বেলান ১২টার দিকে শুনানি শেষে বরিশালের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ্ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

পুলিশ প্রতিবেদন পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা বন্ডে স্থারীয় জামিনদার হিসাবে আসামি পক্ষের আইনজীবী তালুকদার মো. ইউনুস এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি গোলাম মাসুদ বাবলুর জিম্মায় তাদের জামিন দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন আইনজীবী তালুকদার মো. ইউনুস।

জামিনপ্রাপ্তরা নেতাকর্মীরা হলেন- বিসিসির ২৩ নস্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির ও ১৬ নস্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য তানভির হাসান। জামিন শুনানির সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহসানের সরকারি বাসভবনে হামলা এবং সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতারকৃত ১২ নেতাকর্মীর জামিন দিয়েছে আদালত। তার আগে গত ২৫ আগস্ট বুধবার ওই দুই মামলায় আওয়ামীলীগের ৯ নেতাকর্মীকে জামিন দেয়া হয়।

এ নিয়ে ইউএনও এবং পুলিশের মামলায় জামিন পেলেন আওয়ামীলীগের ২৩ নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে ২১ জনকে ঘটনার দিন থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থান হতে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট ব্যানার অপসারনকে কেন্দ্র করে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলার অভিযোগে সিটি কর্পোরেশন ও মহানগর আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষন করে ইউএনও’র নিরাপত্তা রক্ষী আনমার সদস্যরা।

তাদের ছোড়া গুলিতে চোখ হারান বিসিসির ২৩ নস্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির, ১৬ নস্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য তানভির হাসান এবং কাশিপুর ইউনিয়নের সদস্য (মেম্বর) আতিকুর রহমান রায়হান। ঘটনার পর থেকে তারা তিনজনেই ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এদিকে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে হামলা এবং সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে পুলিশ ও ইউএনও বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। দুটি মামলায় সিটি মেয়রকে প্রধান করে মোট ৬০২ জনকে আসামি করা হয়।

এ মামলায় আসামি হিসেবে ২১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এছাড়া বিসিসি’র ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইয়েদ আহম্মেদ মান্নাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব-২। গত ২২ আগস্ট গ্রেফতারবৃত ১৮ আসামির জামিন আবেদন করা হলে বিচারক তা নামঞ্জুর করেন। ওই দিনই ইউএনও এবং পুলিশের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। আদালত পিবিআইকে ওই মামলার তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

এছাড়া একই দিন গত ২২ আগস্ট রাতে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের মধ্যস্ততায় ১৮ আগস্টের ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝি উল্লেখ করে সিটি মেয়র এবং প্রশাসনের মধ্যে সমঝোতা করা হয়।


এসএমএইচ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন