শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতিতে উৎসাহ ফিরেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর সারাদেশের ন্যায় বরিশালের আগৈলঝাড়ায় প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হচ্ছে। এমন খবরে দীর্ঘ প্রায় ১৭ মাস পরে উৎসাহ ফিরে এসেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে। ইতোমধ্যে বিদ্যালয় গুলোর কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠানের ক্লাশ রুম, বেঞ্চ, বারান্দাসহ ভবন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করায় ব্যস্ত সময় পাড় করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেনী কক্ষে পাঠদান শুরুর আগে স্ব-স্ব বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পাঠদানের উপযোগী করতে চলছে ধোঁয়া মোছার কাজ। উপজেলার সরকারি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের মূল ফটকে জীবাণুনাশক স্প্রেসহ সকল প্রস্তুতি নিয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এসময় বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাশ রুম জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে পরিস্কার করতেও দেখা যায়। এছাড়া সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেখা গেছে, বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেহাল অবস্থা। দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ থাকার কারনে শ্রেনী কক্ষ ও বেঞ্চে ধুলার আস্তর জমেছে। বিদ্যালয়ের ক্লাশ রুম দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ক্লাশের রুমে ব্যাঙ, টিকটিকি ও পোকা মাকড়ের আস্তানা রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৌচাগার গুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। খেলার মাঠে বেড়ে উঠেছে বড় বড় ঘাস। ঘুনে ধরেছে আসবাবপত্র। শিক্ষকরা এগুলোকে সামান্য সমস্যা উল্লেখ করে বলেন, এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রতিজন শিক্ষার্থীর সু-স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ বলেন, বর্তমানে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পুনরায় ক্লাশ চালু করার পরিকল্পনা তৈরি করেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এছাড়া করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও এনিয়ে বেশকিছু সুপারিশ দিয়েছে। এসব নির্দেশনা মেনে প্রায় ১৭ মাস বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম শুরুর ক্ষেত্রে অনেকটাই চ্যালেঞ্জের মুখে পরতে হবে। তিনি আরও বলেন, সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সরকারী নির্দেশনা শতভাগ বাস্তবায়ন করার জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা এখন পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছেন। উপজেলার সরকারি
গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হক বলেন, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর নির্দেশনা মোতাবেক ক্লাশে পাঠদান কার্যক্রম শুরুর সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টি সর্বপ্রথম বিবেচ্য বিষয়। তিনি আরও বলেন, ক্লাশ ও কম্পাউন্ডে নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রাখা, ওয়াস ব্লক, জীবানুনাশক স্প্রেসহ সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা জীবনে ফিরিয়ে আনতে দ্রুত ক্লাশে পাঠদান শুরু করার ব্যবস্থা করায় শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
এইচেকআর