বরগুনায় জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

জোয়ারে পানিতে আমতলী ও তালতলী,পাথরঘাটা উপজেলার পায়রা (বুড়িশ্বর) বিষখালি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজারও পরিবার। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেরীর গ্যাংওয়ে তলিয়ে জেলা শহর বরগুনার সাথে তিন ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
জানাগেছে, অমাবস্যার জোয়ারের পানি বিষখালি, পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ১৯ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উপকূলীয় জেলার চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। বেরীবাঁধের বাহিরে বসবাসরত মানুষের বাড়ী- ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে । ভূক্তভোগী পরিবারগুলো বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে বরগুনার সব ফেরী ঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় বেলা সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এতে যানবাহন ও মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
আমতলীর গুলিশাখালী নাইয়াপাড়া গ্রামের জেলে বলহরি বলেন, অমাবস্যার জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে পায়রা নদী সংলগ্ন চর ও নির্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
তালতলীর জয়ালভাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, পায়রা নদীর পানিতে ঘর বাড়ী তলিয়ে যাওয়ায় পরিবার- পরিজন নিয়ে উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছি।
অপরদিকে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ না থাকায় আমতলী উপজেলার গাজীপুর বন্দরটি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ।
বন্দরের ব্যবসায়ী ও ইউপি সদস্য আঃ বাতেন দেওয়ান বলেন, বেরীবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানিতে গাজীপুর বন্দর তলিয়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানপাট বন্ধ করে মালামাল নিরাপদ স্থানে রেখে দিয়েছে। দ্রুত গাজীপুর বন্দরে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ দেয়ার জোর দাবী জানান তিনি।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়সার আলম মুঠোফোনে বলেন, পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১৯ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। এতে জেলা উপজেলার চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলেও কোথায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে যায়নি। তিনি আরো বলেন, ঝুকিপূর্ণ বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধগুলো আগেই সংস্কার করা হয়েছে।
এইচেকআর