নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে গৌরনদীর অর্ধশত বসত বাড়ি ও প্রাচীনতম সড়ক

আড়িয়াল খাঁ’র শাখা পালরদী নদীর ভাঙ্গনে বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার টিকাসার থেকে দিয়াশুর পর্যন্ত নদীপাড়ের দেড় কিলোমিটার এলাকা হুমকির মুখে পড়েছে। গত কয়েক মাস যাবত নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে প্রায় অর্ধশত ঘর-বািড়, অসংখ্য গাছপালা ও ২০০শ’বছরের প্রাচীনতম গৌরনদী বন্দর-টিকাসার-দিয়াশুর সড়ক। ভিটে-মাটি ছাড়া হয়েছেন অনেক লোক। বর্তমানে মারাত্মক হুমকির মুখে চরদিয়াশুর গ্রামের ইলমে তাছাওউফ মাদ্রাসা ও মসজিদ। ভাঙ্গনরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানাগেছে, গৌরনদী পৌরসভার টিকাসার থেকে দিয়াশুর পর্যন্ত নদীপাড়ে দুই শতাধিক পরিবারের বসবাস।এক সময়ের ব্যস্ততম কাঁচা সড়কটি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নদী পাড়ের কয়েকশ’ পরিবার। স্বাধীনতা পূর্ববর্তি সময়ে পূর্বাঞ্চলের লোকজনের গৌরনদী বন্দরে আসা-যাওয়ার একমাত্র সড়ক ছিল এটি। তখন দৈনিক কয়েক হাজার মানুষ পায়ে হেটে দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কে গৌরনদী বন্দরে যাতায়াত করতো। নদী ভাঙ্গনের কারণে সেই সড়কটিও বিলীন হয়ে গেছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে টিকাসার গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের পুকুর, বাড়ির সিংহভাগ ও পাশের রাস্তাটি নদীতে ভেঙ্গে যাওয়ায় আমরা সবচেয়ে বেশী সমস্যায় পড়েছি। রাস্তার সমস্যার কারণে আমাদের উল্টা পথে গৌরনদী বন্দরে যাতায়াত করতে হয়। একই গ্রামের আলাউদ্দিন সরদার, রুস্তুম বয়াতি জানান, নদী ভাঙ্গনের কবলে পরে টিকাসার গ্রামের প্রায় ৫০টি ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে অনেক লোক ভিটে-মাটি ছাড়া হয়েছেন। এ সমস্যা দেখেও কেউ সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিচ্ছেন না বলে তারা জানান।
এ বিষয়ে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে আমি কয়েক দিন আগে ভাঙ্গনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
আসাদুজ্জামান রিপন /এইচকেআর