বানারীপাড়ায় চেয়ারম্যান মৃধার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন


বরিশালের বানারীপাড়ায় সৈয়দকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আ. মন্নান মৃধার বিরুদ্ধে আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এরি মধ্যে তার অভিযোগের সত্যতা খুঁজতে সম্প্রতি পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তাদের ১০ কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত করে তার দপ্তরে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আ. মন্নান মৃধার বিরুদ্ধে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কাবিটা কর্মসূচির দুটি ত্রাণের ঘর বোন ও ভাগ্নেকে পাইয়ে দেওয়ার মতো স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বরিশাল জেলা প্রশাসন বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন কুমার সাহাকে নির্দেশ দিলে তিনি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিশাত শারমিনকে দায়িত্ব দেন।
সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী পরিচালক শরীফ মো. হেলাল উদ্দিন ইউএনওকে এ নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, ওই এলাকার বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এইচ এম হাফিজুর রহমান মামুন সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, সচিব, দুদক, বরিশাল জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ও বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন।
সেখানে চেয়ারম্যানের বোন জাহানারা বেগম ও ভাগ্নে আলাউদ্দিনকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কাবিটা কর্মসূচির দুটি ত্রাণের ঘর পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এছাড়া ১৭টি পুরাতন ব্রিজের মালামাল (রড, পিলার, ভিম ও এঙ্গেল) বিক্রি করে প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান আ. মন্নান মৃধা প্রশ্ন বলেন, আমার বোনের স্বামী নেই। দুটি সন্তানই প্রতিবন্ধী। এক্ষেত্রে অসহায় ও গরীব হিসেবে তাদের কী ঘর দেওয়া যাবে না? তিনি দাবি করেন, আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।
এইচকেআর
