আগৈলঝাড়ায় বিদ্যালয় খোলার ১ম দিনে উৎসবমুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীরা

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ৯৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ৩৮টিসহ ১৩৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা গেছে আনন্দ উল্লাস। রোববার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ সরেজমিন পরিদর্শন করেন।
এসময় তাঁরা উপজেলা সদরে সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিএইচপি একাডেমী, সরকারী গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথসহ বিভিন্ন জায়গায় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ঝুলতে দেখা গেছে করোনা থেকে সুরক্ষায় সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক নানা ফেস্টুন। শ্রেণিকক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের আসন বিন্যাস। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করতে দেখা গেছে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। স্কুলের একটি কক্ষকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও আইসোলেশনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ দেখে সন্তুষ্ট শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
কালুপাড়া গ্রামের অভিভাবক শাখওয়াত হোসেন বলেন, ছেলে-মেয়েদের প্রথম দিনে স্কুলে যেতে যে আনন্দ, বাকি জীবন যেন এমন আনন্দ নিয়েই যায়। স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ায় সন্তানদের পাশাপাশি আমরাও খুশি। সরকারি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদ আলম মিঠু বলেন, দেড় বছর পর আমাদের স্কুল প্রাণ ফিরে পেয়েছে। স্কুল বন্ধ থাকায় আমরা অলস সময় পার করেছি। এখন আবার আমাদের ব্যস্ততা বেড়েছে। খুবেই ভালো লাগছে। ইজিবাইক চালক শহিদুল সরদার বলেন, স্কুল-কলেজ খোলা থাকলে আমাদের আয়-উপার্জন একটু ভালো হবে। আমরাও লকডাউনের মধ্যে খুব খারাপ সময় পার করেছি। আর করোনা আসার পর থেকে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় যাত্রীর অভাব ছিল। স্কুল-কলেজ খোলায় এখন থেকে তা পুষিয়ে নিতে পারব।
সরকারি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জহিরুল হক বলেন, আমরা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুল খুলেছি। আগে থেকেই আমাদের সকল প্রস্তুতি ছিল। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় স্কুলের প্রাণ ফিরেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করানো হয়েছে সকল শিক্ষার্থীদের। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেম বলেন, উপজেলার সকল স্কুল-কলেজ দেড় বছর পর খোলা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুল কলেজ কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সময়মতো তারা সেগুলো বাস্তবায়ন করেছে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের উপস্থিতিতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
এইচেকআর