মাইক্রোবাসে তুলে ছিনতাই: আসামী ফারুককে ৩ বছর কারাদন্ড

হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে মাইক্রোবাসে তুলে ছিনতাই করার অপরাধে ফারুক নামে একজনকে সাড়ে ৩ বছর সাজা দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বরিশালের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ টি এম মুসা আসামির উপস্থিতিতে ৩ ধারায় এ দণ্ড দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফারুক হোসেন ওরফে রুহুল আমিন ঝালকাঠি জেলার সেওতা এলাকার মৃত্যু সুলতান হাওলাদারের ছেলে।
ট্রাইব্যুনাল ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত দেখিয়ে মামলা দায়ের করেন সদর উপজেলার কড়াপুর এলাকার বাসিন্দা হেমায়ত ইসলাম বাদশা।
অভিযোগে হেমায়ত ইসলাম জানান, ওই দিন নগরের বগুড়া রোডস্থ ইসলামি ব্যাংক থেকে দেড়লাখ টাকার চেক পাস করিয়ে সঙ্গে থাকা নগদ টাকাসহ মোট ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা নিয়ে ব্যাংক থেকে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে একটি মাইক্রোবাস এসে তার গতি রোধ করে স্যারের কাছে যাওয়ার কথা বলে কয়েকজন হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নেন। এরপর অস্ত্র ঠেকিয়ে সঙ্গে থাকা টাকা ছিনতাই করে নেন। পরে রহমতপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় তাকে ফেলে রেখে চলে যান তারা। স্থানীয়রা তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে থানা পুলিশে খবর দেয়।
থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করায়। কিছুটা সুস্থ হয়ে ভাতিজার মাধ্যমে এ মামলা দায়ের করেন হেমায়ত ইসলাম। থানা পুলিশ তদন্তে সত্যতা পেয়ে ফারুকসহ ৫ জনকে শনাক্ত করে। থানার এসআই হেলালুজ্জামান একই সালের ২৮ এপ্রিল ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
সাক্ষ্য প্রমাণে ফারুক দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত তাকে ১৭০ ধারায় ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৩৬৩ ধারায় ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ডসহ দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাস কারাদণ্ড এবং ৩৭৯ ধারায় ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ডসহ দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাস কারাদণ্ড দেন। অন্য ৪ জনের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফারুককে রায় শেষে পুলিশ প্রহরায় বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এইচেকআর