কলাপাড়ায় গৃহবধূ হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা


কলাপাড়ায় বিয়ের সাত মাস পর যৌতুকের বলি হলো গৃহবধূ কলেজ ছাত্রী সুমাইয়া। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গলায় রশি পেচিয়ে ঘরের দোতলায় আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। গরু-মহিষ কেনা-বেচার ব্যবসার জন্য গহনা বিক্রি করে তিন লাখ টাকা না দেয়ায় এমনটি করা হয়েছে। এমনকি এ বিষয়টি যেন চেপে যাওয়া হয় এ জন্য পাঁচ লাখ টাকা দেয়ার প্রস্তাবনা দেয় সুমাইয়ার স্বামীর পরিবারের লোকজন।
এমন অভিযোগ এনে সম্প্রতি আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহত সুমাইয়ার মা খাদিজা বেগম। কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি দায়ের করে।আদালত থানায় করা জিডির কাগজপত্র তলব করেছে। মামলায় সুমাইয়ার স্বামী মাসুদ চৌকিদারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া শশুর, ননদসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার বাদী খাদিজা বেগম বলেন, ‘যেভাবে রশি গলায় বেঁধে আড়ার সঙ্গে বেধে রাখা পাওয়া গেছে, তা কোন মেয়ে তো দুরের কথা কোন পুরুষ লোকের একার পক্ষে ওই ভাবে বাঁধা কোনভাবেই সম্ভব নয়।
মামলায় আরও বলা হয়েছে, কলেজ ছাত্রী থাকাকালে সাত মাস আগে লালুয়ার সুমাইয়ার সঙ্গে ধুলাসারের নয়াকাটা গ্রামের মাসুদ চৌকিদারের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল, দুই ভড়ি স্বর্ণালঙ্কার দেয় সুমাইয়ার পরিবার। বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই মাসুদ তাঁকে দেয়া স্বর্ণের চেইন বন্ধক রাখে। এরপরে গরু-মহিষ কেনাবেচার ব্যবসার জন্য সুমাইয়ার স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে তিন লাখ টাকা দিতে চাপ দেয়। এনিয়ে প্রায় দিন সুমাইয়াকে গালিগালাজ করা হত। এমনকি নিত্যদিনের বাজার পর্যন্ত বন্ধ করে দেয় হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে । গত ২৭ আগস্ট বেলা ১১ টার দিকে মহিপুর থানা পুলিশ নয়াকাটা গ্রামের সুমাইয়ার স্বামীর ঘরের দোতলা থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
এনামুল হক /এইচকেআর
