টালমাটাল বরিশালের নিত্যপণ্যের বাজার


করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত লকডাউনের (কঠোর বিধিনিষেধ) প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে। জরুরী সেবা ছাড়া সবধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সরবরাহ কমেছে নিত্যপণ্যের, বিশেষ করে কাঁচা বাজার।
দাম বেড়েছে প্রতিটি সবজির। এদিকে কাজ হারিয়ে সংকটে পড়েছে নিন্ম আয়ের মানুষ। চড়া বাজার মূল্যে বেকায়দায় মধ্যবিত্তরা। আবার প্রতিবছর রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির যে অঘোষিত নিয়ম দেশে চলে এসেছে তারও ব্যত্যয় ঘটেনি এ বছর। একদিকে রমজানের এক সপ্তাহ আগে থেকে নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি অন্য দিকে লকডাউনে কমেছে পণ্য সরবরাহ। সবমিলিয়ে উভয় সংকটে ক্রেতা-বিক্রেতা।
কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে নির্ধারিত সময় সকাল ৬ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত
কাঁচাবাজারে ক্রেতার ভিড়।
চাহিদার চেয়েছে বেড়েছে সবজির দাম। ৩০ টাকার কাঁচা পেঁপের কেজি এখন ৫০ টাকা,৪০ টাকার চিচিঙ্গার কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা, ২০ টাকার টমেটো কেজি ৪০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া কেজি ২৫- ৩০ টাকা, বেগুন ১০০ টাকা, কচুর লতি কেজি ৬০ টাকা, আলু ২০ টাকা, ঢ্যাঁড়স কেজি ৫০-৬০ টাকা, পটোলের কেজি ৫০ টাকা ও কাঁচকলা হালি ৩০ টাকা।
এক সপ্তাহ আগের বাজার হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি সবজিতেই কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা দাম বেড়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে কেজিপ্রতি সবজির দাম বেড়েছে ২০ টাকা।
ছেলের পছন্দের কাঁচ কলা আর পেঁপে কিনতে আসা শহিদুল আক্ষেপ করে বলেন," মরার উপ্রে খারার ঘাঁ। রোজার মাসে হারা (সারা) দুনিয়ায় বাজার সদয়ের দাম কমে কিন্তু বাংলাদেশে এর উল্টা। সবকিছুর দামই লাফাইয়া লাফাইয়া বাড়ে। আবার দিছে লকডাউন। মানুষ যাইবে কুম্মে? "
রুপাতলি কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নাজমুল বলেন, ‘ প্রায় তরকারির দাম বেড়েছে। লকডাউনে সবজি আসতে পারেনা, কেরিং খরচ বেশি। জায়গায় জায়গায় সমস্যা। ৪০ টাকার ধুন্ধল ৬০ টাকা, জিঙ্গে ৪০ টাকা বিক্রি করতাম এখন কেনা পড়ে ৫৫ টাকা। ২০ টাকার টমেটা ৪০ টাকায় কেনা, বিক্রি করবো ৫০-৫৫ টাকা।
ভালো পেঁপে ৫০-৫৫ টা বিক্রি করি। সব ধরনের শাকসবজি এখন বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। লকডাউন চলছে, তাই মালামাল কম আসছে। এভাবে চলতে থাকলে রমজানে ভোগান্তির শেষ থাকবে না।
এইচকেআর
