ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

Motobad news
মিথ্যা মামলা দিয়ে ১৩টি পরিবারকে হয়রানীর অভিযোগ

গৌরনদীতে গুম হওয়া কিশোর ৯ বছর পর উদ্ধার 

গৌরনদীতে গুম হওয়া কিশোর ৯ বছর পর উদ্ধার 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের কলাবাড়িয়া গ্রাম থেকে কথিত গুম হওয়া কিশোরকে ৯ বছর পর  উদ্ধার করা করেছে।  সোমবার রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয় । রাসেল মৃধা উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের কলাবাড়িয়া গ্রামের মো. জালাল মৃধার ছেলে । থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।

জানা গেছে ২০১২ সালের মে মাসে গৌরনদী মডেল থানায় রাসেল মৃধাকে (২৩) অপহরন করে হত্যার পর লাশ ঘুমের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করে মা ফাহিমা বেগম ।  মামলায়  ১৩ জনকে আসামি করা হয় ।  মামলায় ৪ আসামি দীর্ঘ দিন জেল হাজত খেটে বর্তমানে জামিনে ও ৯ আসামি পলাতক রয়েছে।

অপহরন ও গুম মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফোরকান হোসেন জানান,  অপহরন করে হত্যার পর লাশ ঘুমের অভিযোগে  মামলায় একই গ্রামের প্রতিবেশী এস. রহমান মৃধা (৫৫) তার ছেলে আরমান মৃধা (২৬), ছোট ছেলে রায়হান (২৩), স্থানীয় শাহীন মল্লিক (৩০), হক ভূইয়া (৭০) ও তার ছেলে মবিন ভুইয়া (২৮)স হ ১৩ জনকে আসামি করা হয়।  ২০১৩ সালে শেষের দিকে এজাহারভুক্ত ১৩ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। 

ভিকটিম জীবিত থাকার পরেও তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া প্রসঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফোরকান হোসেন বলেন, মামলার তদন্তকালে ১২ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করা হয়। তাতে যে তথ্য পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতেই অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে। 

মিথা মামলায় জেল হাজত থেকে জামিনে আসা মো. রহমান মৃধা, রায়হান মৃধা অভিযোগ করে বলেন, অপহরনের পর হত্যা করে লাশ গুমের মিথ্যাা মামলায় আমরা ৪ জন দীর্ঘদিন কারা ভোগ করেছি। ৯ আসামি পালিয়ে থেকে দূর্বিসহ জীবন যাপন করেছি। পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মিথ্যা হয়রানীমূলক মামলায় ৯ বছরে আমরা ১৩টি পরিবার সহায় সম্বল সব হারিয়েছি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফোরকান হোসেন বাদির ধারা  প্রভাবিত হয়ে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে সঠিক তদন্ত ছাড়াই আমাদের ১৩জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করায় বাদি ও মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার  দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই। 

গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, উদ্ধারকৃত ভিকটিমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।   মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। 
 

 

গিয়াস উদ্দিন /এইচকেআর


গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন