আগৈলঝাড়ায় ক্যান্সারে আক্রান্ত প্রবাসীর অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সৌদি আরব প্রবাসী ক্যান্সারে আক্রান্ত এক গৃহবধূ স্ত্রীর সারা জীবনের উপার্জনকৃত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই ভুক্তভোগী প্রবাসী গৃহবধূর মেয়ে।
স্বামী সজল হালদার স্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করার মাধ্যমে ব্যাংকের জমানো টাকা শেষ সম্ভল উত্তোলন করা সহ, স্থাবর অস্থাবর অঢেল সম্পত্তির মালিক হলেও, স্ত্রীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কথা শুনেও সু-চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা না করে দ্বিতীয় বিবাহ করেছেন।
জানা গেছে, ১৭ বছর হাসপাতালে স্টাফ নার্স হিসাবে মানুষের সেবা করলেও অসময়ে পাশে নেই তাঁর কেউ, এমনটি অভিযোগ করেছেন প্রবাসী নমিতা রানী রায় এবং তার স্বজনরা। নমিতা রানী রায়ের মেয়ে তমা হালদার থানায় লিখিত অভিযোগ করার পরে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ।
নমিতা রানী জানান, সৌদিআরবে থাকাকালীন আলরাজি হাসপাতালে স্টাফ নার্স হিসাবে ১৭ বছর কর্মরত ছিলেন তিনি।
পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার নগেন চন্দ্র শীলের মেয়ে নমিতা রানীর পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয় আগৈলঝাড়া উপজেলার জলিরপাড় গ্রামের নগেন্দ্রনাথ হালদারের ছেলে সজল হালদারের সাথে।
বিয়ের পর সংসারের উপার্জন বাড়াতে বিদেশে পাড়ি জমান নমিতা রানী। স্ত্রী নমিতা রানীর চাকুরি জীবনের সমস্ত উপার্জন স্বামীর হাতে তুলে দিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। সেই অর্থ দিয়ে তাঁর স্বামী সজল গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলায় তিন তলা ক্লিনিক ভবন, দুইটি ঔষধের ফার্মেসীসহ নিজের নামে গড়েছেন অঢেল সম্পত্তি। কিন্তু স্ত্রীর ক্যান্সারে আক্রান্তের কথা শুনে পাশে নেই স্বামী। প্রথম স্ত্রীর খোঁজ খবর না নিয়ে আবার করেছেন দ্বিতীয় বিয়ে। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিলেও মৃত্যুর প্রহর গুনছেন নমিতা রানী। এই জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে পাশে নেই স্বামী সজল হালদারসহ তাঁর আত্বীয় স্বজনরা।
দুঃসময়ে পাশে না থাকলেও স্ত্রীর রোজগারের টাকায় স্বাবলম্বী হওয়ার কথা স্বীকার করে স্বজল হালদার বলেন, আমার সাথে এখন আর তাঁর কোন সম্পর্ক নেই। এব্যাপারে প্রবাসী স্ত্রীকে সহযোগিতা করতেও অনীহা প্রকাশ করেন তিনি।
এমন অমানবিক পরিস্থিতে বাবার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা একমাত্র মেয়ে তমা হালদার জানান, আমার মায়ের সুচিকিৎসাসহ স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির অর্ধেক লিখে দেওয়ার দাবী জানাই।
এব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচেকআর