বরিশালে ফলের দাম দ্বিগুণ


রমজানে বেড়েছে দেশি-বিদেশি ফলমূলের চাহিদা। গ্রীষ্মের খরতাপে ইফতারিতে ফাস্টফুডের পরিবর্তে ফলমূলের পরিমাণ বাড়াচ্ছেন রোজাদাররা। ফলে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় তৈরি হয়েছে বাড়তি চাহিদা।
এদিকে লকডাউনে কমেছে ফলের সরবরাহ। চাহিদা বেশি কিন্তু পণ্য সরবরাহ কম। এ কারণে বেড়েছে দাম। লকডাউন শেষ না হলে ফল বাজারে দামের উত্তাপও কমবেনা বলে জানিয়েছেন বরিশাল নগরীর ফল ব্যবসায়ীরা।
রূপাতলীতে মওসুমি ফল তরমুজ বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৩৫ বা ৪০ টাকা। যদিও এক সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি ছিল ২৫ টাকা । দাম বাড়ার তালিকায় সম্প্রতি যোগ হয়েছে আরেকটি ফল মাল্টা।
দশদিন আগে প্রতিকেজি ১৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া আমদানি করা মাল্টা এখন ১৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ কেউ ভালো মানের মাল্টা ১৬০ টাকায়ও বিক্রি করছেন।
নগরীতে ভ্যান গাড়িতে ফেরি করে ফল বিক্রি করেন আমজাদ মোলা। তিনি জানান, রোজায় মাল্টার চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু সরবরাহ থাকার কারণে দাম একটু একটু করে বাড়ছে।
রোজায় বাড়তি চাহিদার কারণেই অধিকাংশ ফলে দাম বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি। তিনি জানান, পাইকারি ফলের বক্সে নষ্ট, পঁচা ফল থাকে; আবার ২০ কেজি ওজনের বক্সে ১৯ কেজি। ক্রেতারা ফল নেয় একটা একটা বাছাই করে।
সবমিলিয়ে চড়া বাজার মূল্যে ফল বিক্রি কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি জানান, দাম বাড়ায় মানুষ হয়তো ফল কম খাবে আমাদের বিক্রিও কিছুটা কমে যাবে।
বেলের দামও দ্বিগুণ বেড়েছে। বাজারে প্রতিটি মাঝারি আকারের বেল এখন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা টাকা, আর বড় ও দেখতে হৃষ্টপুষ্ট বেল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা।
কয়েকজন বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাইকারি বাজারেও বেলের দাম বাড়তির দিকে। গত ১ সপ্তাহে দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে।আমদানি ফলের মধ্যে এই সপ্তাহে সবুজ আপেল বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২০০ টাকা, লাল আপেল ১৮০ টাকা। গত এক সপ্তাহের চেয়ে দাম বেড়েছে কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা। তবে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মওসুমি এসব ফলের দাম বেড়ে যাওয়াটা অনেকটা স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন ক্রেতারা।
এইচকেআর
