বোরহানউদ্দিনে জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু, শংকিত অভিভাবক

ভোলার বোরহানউদ্দিনে ঘরে ঘরে জ্বরে আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা । একজনের গর একজন কিংবা একসাথে ৪/৫ জন । এর মধ্যে বেশি প্রচন্ড জ্বর নিউমিনিয়া আর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশু । হাসপাতাল আর ডাক্তারের চেম্বারে বাড়ছে ভীড় । কোভিড-১৯ কিংবা ডেঙ্গুর মৃত্যু দেখে শিশুর অভিভাবকরা নিজেরা আক্রান্ত হলেও শংকিত আতঙ্কিত শিশুদের নিয়ে ।
কিন্তু চিকিৎসকরা বলছে আক্রান্তের সংখ্যা বেশী হলেও বড় ধরনের কোন সমস্যা তাদের কাছে আপাতত ধরা পড়ছে না কারন সবাই সুস্থ হয়ে যাচ্ছে । বরং কমে গেছে কোভিড পজেটিভের সংখ্যা ।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাসা বাড়ীতে প্রচন্ড জ্বর সর্দি কাশিতে পরিবারে ৪/৫ এক সাথে আবার একজন ভাল হলে আরেকজন আক্রান্ত হচ্ছে । গত কয়েক মাস ধরে এভাবে আক্রান্ত হচ্ছে । কিন্তু হঠাৎ করে আক্রান্ত সংখ্যা বেড়ে গেছে । দেউলা ইউনিয়নের রিয়া আক্তার দেড় বছরের বাচ্চার প্রচন্ড জ্বর নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছেন । বাচ্চা আগের থেকে অনেকটা সুস্থ । তজুমদ্দিনের শিবপুরের হোসনে আরা ১ মাসের বাচ্চার নিউমিনিয়া নিয়ে ৪ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি । তবে আগের চাইতে অনেকটা সুস্থ তার সন্তান । ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি আছেন দেউলা ইউনিয়নের মঞ্জুর হোসেন তার ১০ মাসের বাচ্চা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গতকাল পর্যন্ত জ্বও নিয়ে হাসপাতালে ৪৮ জন নারী পুরুষ ও শিশু ভর্তি আছেন । এর মধ্যে ১৯ জন শিশু যার মধ্যে ৬ জন নিউমিনিয়া আক্রান্ত । হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মশিউর রহমান সাদী বলেন, শিশুরা প্রচন্ড জ্বরে আক্রান্ত হলে নানা রকম টেষ্ট করে তেমন কিছু ধরা পড়ছে না । কোভিড, ডেঙ্গু সহ কোন উপসর্গ নেই । তবে আপাতত তেমন কোন বড় ধরনের শংঙ্কা নেই বলে জানান । মা ও শিশু স্বাস্থ্য ডাঃ মাসুম বলেন, শিশুরা সৃজনাল ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে । আমরা আমাদের সন্তানদের পোল্টি করে ফেলছি । বাচ্চাদের রৌদ্রে খেলতে দেই না । রোদে শরীরের ভিটামিন ডি তৈরি হয় । শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের সন্তানদের প্রতি যন্তশীল হওয়া উচিৎ।
বোরহানউদ্দিন হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা তপতী চৌধুরী বলেন, এটা ভাইরাস ফøু হবে । অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে । গায়ে প্রচন্ড জ্বর,সর্দি গলা ব্যথ্যা থাকে কিন্তু টেষ্ট করলে কোন কিছু ধরা পড়ে না । তবে কয়েক দিনের মধ্যে সবাই সুস্থ হয়ে যায়। কোভিড টেষ্ট কমে গেছে । হলেও পজেটিভ এক দুইটা বেশির ভাগ নেগেটিভ ।
এইচকেআর