মনপুরায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে যুবতীকে ধর্ষণ, আটক ১

ভোলার মনপুরায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক যুবতীকে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী বাসিন্দা এক যুবক। ধর্ষণের ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় মাতাব্বরা সমাধানের আশ্বাস দিয়েও কোন সমাধান করেনি গত ৫ মাস। পরে ভূক্তভোগী পরিবার ভোলায় নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলা করলে আদালতের নির্দেশে মনপুরা থানা সোমবার (৪ অক্টোবর ) নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা গ্রহন করে। এই সুযোগে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ওই যুবক চট্রগামে পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) মনপুরা থানার পুলিশের একটি টিম চট্রগ্রামের কোতায়ালী লালদীঘি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবককে আটক করে মনপুরায় নিয়ে আসে। পরে বুধবার আটককৃত যুবককে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আটককৃত আসামী হলেন, উপজেলার হাজীরহাট ইউনিয়নের চরযতিন গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহবুবুবের ছেলে মো. শামীম (২১)। তিনি চট্রগ্রামে দর্জির কাজ করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০ মে রাত ১১ টায় মুঠোফোনে শামীম ওই যুবতীকে বাড়ীর পাশে পুকুর পাড়ে আসতে বলে। পরে বিবাহের আশ্বাসে মুখ চেপে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মুখ থেকে হাত সরিয়ে নিলে ওই যুবতী চিৎকার দেয়। পরে এলাকার লোকজন এসে ওই যুবক ও যুবতীকে বিবস্ত্র অবস্থায় আটক করে। ওই রাতেই যুবকের পিতা-মাতা মেয়েকে পুত্রবধু হিসাবে মেনে নেয়। এমনকি পরদিন রেজিস্ট্রি বিবাহ হবে বলে আশ্বাস দিয়ে যুবককে ছাড়িয়ে নেয়। কিন্তু পরদিন ওই যুবক চট্রগ্রামে পালিয়ে যায়।
এতে ভুক্তভোগী পরিবারটি হাজীরহাট ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি থানা কিংবা আদালতের মামলা করার পরামর্শ দেন। কিন্তু স্থানীয়ভাবে সমাধানের আশ্বাসে সমাধান না হলে গত ৯ আগস্ট থানায় মামলা করতে গেলে আদালতে মামলার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলা করে ভূক্তভোগী পরিবার। আদালতের নির্দেশে মনপুরা থানা সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা নেয়। পরেদিন পুলিশ অভিযান চালিয়ে চট্রগ্রাম থেকে ওই যুবককে আটক করে।
এই ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের নির্দেশে মনপুরা থানায় ধর্ষণ মামলা নেওয়া হয়। পরে চট্রগ্রামে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের আসামী শামীমকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এইচকেআর